বগুড়া সোনাতলায় কালবৈশাখী ঝড়ে পৌর শহরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পৌর শহর ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ গাছ উপড়ে এবং ডাল ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে হয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের গড়ফতেপুর, থানা চত্বর, উপজেলা পরিষদ, হাসপাতাল, বড়বাজারে গাছ উপড়ে পড়ে এবং ডাল ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে মাদ্রাসা মোড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও শহরে বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের তান্ডবে ছোট-বড় বহু বনজ ফলদ গাছ উপরে পড়ে এবং অসংখ্য গাছের ডাল ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যায়। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যানবাহন সহ পথচারীরা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ অফিস এর লোকজন ও স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তাঘাট থেকে ডালপালা সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।
পৌর শহরের থানা চত্বরে প্রায় ২০টি গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। উপজেলা পরিষদে ছোট বড় কয়েকটি গাছ উপরে পড়ে এবং বহু গাছের ডাল ভেঙ্গে গেছে। উপজেলার চিল্লি পাড়ায় বৈদ্যুতিক তারের উপরে একটি বড় এন্ট্রি কড়ই গাছ উপড়ে পড়ে। তার ছিরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে সোনাতলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল আহম্মদ জানান, পৌর শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় ৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তারের উপর গাছ পড়ে খুটিগুলো ভেঙে গেছে এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছের ডাল পড়ে তার ছিড়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সকল লোকজন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং আশা করছি আজকের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে পৌর শহরের গড়ফতেপুর গ্রামের জুলেখা আক্তার (৪৫) নামের একজন মারাত্মক আহত হন। সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
কালবৈশাখী ঝড়ে সময় বজ্রপাত এর শব্দে ও আলোর রস্মিতে উপজেলার দাউদপুর গ্রামের রাশেদা আক্তার (৪৫) নামের একজন আহত হয়ে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় ৫/৬টি বড় গাছ ভেঙে পড়েছে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে গাছ ও গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন : :