ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শনিবার (১৭ মে) নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত নেতারা নয়নের স্ত্রীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন। সেই সাথে নয়নের পুরো পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেয় জেলা বিএনপির নেতারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের সন্তান। তিনি সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ সভাপতি ছিলেন। ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল বলেন, আজ থেকে শহিদ নয়নের পরিবারের দায়িত্ব নিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি। নয়নের একমাত্র ছেলেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, নয়ন হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামির বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই নয়নের আত্মা শান্তি পাবে।
জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, নয়নের হত্যাকারীরা কোনভাবেই পার পাবে না। তার পরিবারের পাশে আমি ও আমার দল অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহ সভাপতি মমিনুল হক, কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এমএ খালেক পিএসসি, মেজর (অব.) সাইদুর রহমান সাইদ, জেলা বিএনপির সদস্য ও বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছালে মুছা, জেলার সদস্য গোলাম মোস্তফা, ইঞ্জিনিয়ার দবির উদ্দিন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াছ, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ, সদস্য সচিব জিসান সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নয়ন হত্যার মামলায় প্রায় আড়াই বছর কেটে গেলেও তদন্তে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। মামলার শতাধিক আসামির মধ্যে চারজন গ্রেফতার হলেও তিনজন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বর্তমানে কেবল সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (অব.) কারাগারে রয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে ডিবি পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন : :