গাজীপুরের শ্রীপুরে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন এক যুবক। তার মরদেহ দাফনের পর হত্যা মামলার তিন আসামির বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।
শনিবার রাত ১১টার দিকে শ্রীপুরের যুগিরছিট গ্রামে এই আগুনের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
এসময় বাড়িগুলোয় কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বসত ঘরে থাকা আসবাবসহ সব জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
নিহত ২৮ বছরের যুবক নাজমুল ইসলাম যুগিরছিট গ্রামের মোসলেম উদ্দীনের ছেলে। তার মৃত্যুতে থানায় শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
নিহতদের স্বজন ও মামলার বরাতে ওসি জয়নাল বলেন, গত ১ মে সকালে ধানের ক্ষেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে নাজমুলের সঙ্গে একই গ্রামের আল আমিনের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে ওই দিন রাতেই নাজমুলকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে আল আমিন। এতে নাজমুলের পেটের নাড়িভুড়ি বেরিয়ে যায়। ছেলেকে বাঁচাতে তার মা-বাবা এগিয়ে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করে আল আমিন।
পরে গুরুতর আহতবস্থায় নাজমুলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, শনিবার রাতে নাজমুলের গ্রামের বাড়িতে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়। তবে জানাযার সময়ই উপস্থিত স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে দাফন শেষ করার পরপরই তারা আল আমিন এবং তার চাচা বাবুল ও স্বপন মিয়ার বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা সবাই নাজমুল হত্যা মামলার আসামি এবং পলাতক।
ওসি আরও বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পাশাপাশি আসামিদের বাড়িতে আগুন দেয়ার বিষয়টিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন : :