বাঞ্ছারামপুর বার্তা পত্রিকায় “বাঞ্ছারামপুরে প্রতিবেশীকে কুপিয়ে আহত, বখাটে ইয়াসিন পলাতক” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের। অনলাইন ভার্সনে সংবাদ প্রকাশের ১ ঘণ্টার মধ্যেই মাদকাসক্ত বখাটে ইয়াসিনকে গ্রেফতার করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ। রবিবার (১১ মে) বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরীর নির্দেশনায় ও এসআই মনিরের নের্তৃত্বে একদল চৌকস পুলিশ সদস্য বখাটে ইয়াসিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই আমরা আসামী ইয়াসিন কে গ্রেফতারের চেষ্টা করতে থাকি। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সেটি আরো ত্বরান্বিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেলের পর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দিতে আত্মগোপনে থাকা ইয়াসিন কে আটক করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহবধূ পুজা রাণী দাসকে ছুরিকাঘাত ও যে দেশীয় অস্ত্র (বাটাল) দিয়ে গলা ও হাতে আঘাত করেছিলো সেটি তার (ইয়াসিন) দেখানো মতেই উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
এদিকে,দ্রুত গতিতে প্রধান আসামী ইয়াসিন কে গ্রেফতারের করায় প্রশংসায় ভাসছেন মডেল থানা পুলিশ। তবে, ঢাকায় চিকিৎসাধীন পুজোর পরিবার ও স্বজনদের দাবী, শুধু গ্রেফতার নয়, ইয়াসিনের কঠোর সাজা নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতার করা দরকার।
গৃহবধূ পুজা রাণী বর্তমানে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌর শহরের টিএনটি পাড়ায় পুজা রাণী নামে (২৮) এক নারীকে কথা-কাটাকাটি জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বখাটে ইয়াসিন (২৩) কর্তৃক কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটে। গৃহবধূকে বাঁচাতে যেয়ে আহত হন আরো একজন। গত শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে শহরের টিএনটি রোডের পেছনে মালিহাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় গৃহবধূ পুজার ভাই জনিও আহত হয়েছেন। গৃহবধূ পুজাকে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর পর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুজা রাণী এলাকার শংকর চন্দ্র দাসের মেয়ে। প্রতিবেশী ইদ্রিস মিয়ার ছেলে বখাটে ইয়াসিন ঘটনার পর থেকে পলাতক। এ ঘটনাকে কেন্দ্র গৃহবধূ পিতা শংকর বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন : :