পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় জেলেদের জন্য মানবিক সহায়তার চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান হিরণ এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. সুমন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিস সূত্রে জানা গেছে, মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে জেলেদের মানবিক সহায়তা হিসেবে ১৭৭ জনকে ২৫ কেজি করে মোট ৪ হাজার ৪২৫ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তবে অভিযোগ উঠেছে, এই চাল বিনামূল্যে বিতরণের কথা থাকলেও ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্যানেল চেয়ারম্যান প্রত্যেক জেলের কাছ থেকে ভাড়ার অজুহাতে ৫০ টাকা করে মোট ৮ হাজার ৮৫০ টাকা আদায় করেছেন। একইসঙ্গে, ২৫ কেজির পরিবর্তে প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় একাধিক জেলে জানান, চাল নিতে গিয়ে তাদের টাকা দিতে হয়েছে এবং বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ থেকেও কম পেয়েছেন।
জেলে সোহেল বলেন, আমরা চাল নিতে গেলে সচিব আমাদের দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে ৫০ টাকা জমা দিলে চাল দেওয়া হয়।
আরেক জেলে সাইফুল বলেন, আমরা প্রত্যেকে ৫০ টাকা দিয়েছি, কিন্তু ২৫ কেজির বদলে ২০ কেজি করে চাল পেয়েছি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান হিরণ বলেন, ১৭৭ জনের বরাদ্দ পেয়েছি, ১৭৭ জনের মধ্যেই চাল বিতরণ করেছি। তবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। একইভাবে, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সুমনও চাল ও অর্থ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন : :