• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | বিশেষ প্রতিনিধি অক্টোবর ৯, ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের কৃতি সন্তান কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। উচ্চ শিক্ষায় সুশিক্ষিত এই নেতা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির চরম দুর্দিনে শক্তহাতে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। আজ সবই ইতিহাস। শতশত নেতাকর্মীদের মামলা মোকদ্দমা থেকে রক্ষা করেছেন তিনি। নিজের পকেটের টাকা দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের জেল থেকে জামিন করিয়েছেন। নিজের জীবনের উপর ঝুঁকি নিয়ে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলেন। 
আওয়ামী লীগের আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের একটি আলোচনায় তৎকালিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম আল মামুন সরকার দলীয় ক্যাডারদের নিয়ে কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের উপর অতর্কিত হামলা করেছিলেন। সেদিন কোনমতে নিজের জীবন বাঁচিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া তার নিজ উপজেলা বাঞ্ছারামপুরেও নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছিলেন। মিথ্যা মামলায় জেলও খেটেছেন। এতোকিছুর পরও দলকে শক্তভাবে নেতৃত্ব দিয়ে মাঠ পর্যায়ে ধরে রেখেছেন। 
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা গা ঢাকা দেন। তৃণমূলের নেতারা তখন অসহায় হয়ে পড়ে। ওই সময় প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান কৃষিবিদ পলাশ। 
তারপর ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। তখন সিনিয়র নেতাদের অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। ওই সময় বিএনপি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আরও কোনঠাসা হয়ে পড়ে। দুঃসময়ের ওই দিনগুলোতে তৃণমূলের নেতারা আরও বিপদে পড়ে যায়। নিজের ব্যবসার আয়ের সমস্ত টাকা পয়সা কর্মীদের মাঝে বিলিয়ে দেন কৃষিবিদ পলাশ। 
ইতোমধ্যে আরও ৫ বছর পার হয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে। পরে কারচুপির অভিযোগ এনে ওই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। 
২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আর্থিকভাবে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী চরম দুরবস্থায় পড়ে। ওই সময়ও নিজের সর্বস্ব দিয়ে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন কৃষিবিদ পলাশ। 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর নানা ঘটনার মধ্যদিয়ে নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সারাদেশের মতো বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও গা ঢাকা দেয়। মাঠে অবস্থান নেয় বিএনপি। বিগত সময়ে বলতে গেলে ২০০৮ সালের পর বাঞ্ছারামপুর বিএনপির নেতাকর্মীদের খবর নেয়া তো দূরের কথা, নিজেরা এলাকায়ই আসেনি তারা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, নিজেদের জানান দেয়ার চেষ্টা করছে। 
অন্যদিকে কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ সেই আগের মতোই নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। সাংগঠনিকভাবে দলকে গোছানোর চেষ্টা করছেন। দলের মধ্যে বিভেদ কোন্দল ঘুচিয়ে সকলকে নিয়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সমস্ত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তার সুদৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি।
আগামীদিনে একটি সুন্দর বাঞ্ছারামপুর গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির দুঃসময়ের কাণ্ডারি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। 

Side banner