বিএনপির ঘাঁটি খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসন আবারো ফিরে পেতে চায় দলটি। ১৯৮৮ সালে এটিএম ওয়ালী আশরাফ, ১৯৯৪ সালে শাহজাহান হাওলাদার সুজন এবং ২০০১ এমএ খালেক পিএসসি বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি ফের বিএনপি থেকে যেকোনো প্রার্থীকে মনোনয়নের দাবি করছে। কোনো জোটের শরীক দল থেকে মনোনয়ন দিলে দলের ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহ সহযোগী সংগঠনের নের্তৃবর্গ গতকালের মতো আজও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে একযোগে দিনভর বিক্ষোভ মিছিল করে দাবি জানিয়ে বলেছে, ডান বাম বুঝি না, এই আসনে ধানের শীষের যে কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে।
অন্য কোন প্রার্থীকে তারা মেনে নিবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তব্য দেন।
উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কেউই ধানের শীষের প্রার্থী ছাড়া জোটের অন্যকোনো শরিক দলের প্রার্থী কে দেখতে চায়না বলে স্পষ্ট করেছে দলের উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নের্তৃত্ব।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ইউনিয়নগুলোর প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে নের্তৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছালে মুছা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশীদ আকাশ, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবু কালাম, মাহবুব হাসান, ছাত্রদল নেতা শাহাদাত হোসেন, লিটন সরকার, আশিকুর রহমান অন্তু, বিউটি আক্তার ও রুমা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিগত দেড় দশকের জুলুম-নির্যাতনের আমলে বিএনপি তথা ছাত্রদলের সবাই জেল জুলুম সহ্য করে দল করেছি। ডজন ডজন মামলা নিয়ে ঘুরেছি। জেলে, ধান ক্ষেতে ঘুমিয়েছি। বাড়ি ছাড়া থেকেছি মাসের পর মাস। এখন অন্য কেউ এসে বলবে এই আসন আমার, সেটি হবে না।
বক্তারা আরো বলেন, দলের লিফলেট বিতরণ করতে যেয়ে ছাত্রদলের সহসভাপতি নয়ন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। তখন কেউ দেখতে যায়নি।
গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি কে উদ্দেশ্য করে নেতারা বলেন, এখন উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাইছে জোটের শরীক দল। যার নূন্যতম গ্রহণ যোগ্যতা নেই। আমরা ধানের শীষের প্রার্থী চাই। সে যেই হোক।
অন্যদিকে বিএনপির অন্যতম শরিক দল গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সব ইউনিয়নে জয়ের আশায় চালাচ্ছে জোর তৎপরতা। জামায়াত ও ইসলামি আন্দোলনের একক প্রার্থী থাকলেও বিএনপিতে উপজেলার এই আসনে রয়েছেন অন্তত ডজন খানেকেরও বেশি সম্ভাব্য প্রার্থী। তাঁরা দলীয় কর্মসূচি এবং সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে জানান দিচ্ছিলো তারা প্রায় সকলেই ধানের শীষের প্রার্থীর জন্য একাট্টা হচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন : :