• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.
আড়াই লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ

বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তা শামীমাসহ গ্রেপ্তার ২


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | স্টাফ রিপোর্টার অক্টোবর ৭, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তা শামীমাসহ গ্রেপ্তার ২

যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ঘুষের নগদ টাকাসহ রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও সহযোগী হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আল আমিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৬ অক্টোবর দুদকের যশোর জেলা কার্যালয়ের একটি বিশেষ টিম এ সংক্রান্ত অভিযান পরিচালনা করে। দুদকের যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দীনের নেতৃত্বে অভিযানটি চালানো হয়। 
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও এনজিও কর্মী হাসিবুর রহমানের ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় দুদকের অভিযানে একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার কাস্টমস হাউস বেনাপোলের শুল্কায়ন গ্রুপ-৬ এ কর্মরত। এনজিও কর্মী হাসিবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ওই দপ্তরে তার ‘নিজস্ব লোক’ হিসেবে কাজ করতেন। তিনি সিএন্ডএফ এজেন্টদের কাছ থেকে শুল্কায়ন ফাইল অনুমোদনের বিনিময়ে ঘুষ আদায় করে শামীমা আক্তারের হাতে পৌঁছে দিতেন। গত ৫ ও ৬ অক্টোবর  হাসিবুর রহমান মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ঘুষের অর্থ সংগ্রহ করে রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের দপ্তরে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আসেন। এ সময় দুদকের দল অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করে।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার স্বীকার করেন তিনি এনজিও কর্মী হাসিবুর রহমানকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন এবং ৬ অক্টোবর তার সঙ্গে দু’বার মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। 
দুদকের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শামীমা আক্তার ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে হাসিবুর রহমানকে বিভিন্ন সময় বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেন। অর্থাৎ রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ঘুষ লেনদেনে হাসিবুর রহমানকে সরাসরি ব্যবহার করতেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আমদানি করা মোটর পার্টস ও যানবাহনের যন্ত্রাংশের শুল্কায়ন বেনাপোল কাস্টমসের গ্রুপ-৬ এর আওতায় পড়ে। সেখানে ঘুষের বিনিময়ে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। সার্বিক বিশ্লেষণে দুদক মনে করে, রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার সরকারি কর্মচারী হয়েও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ নেওয়ার মাধ্যমে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬২/১৬৩/১৬৪ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বেনাপোল স্থলবন্দরে অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যশোর থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব, মূল্যায়ন ও প্রশাসনিক শাখাসহ বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযানের সময় ঘুষের লেনদেনের অভিযোগের সত্যতা পায় এবং ঘটনাস্থল থেকে ঘুষের নগদ টাকা উদ্ধারসহ রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের সহযোগী এনজিওর সদস্য হাসিবুর রহমানকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে শামীমা আক্তারের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে কমিশনারের জিম্মায় রাখা হয়।

Side banner