মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। বৃহত্তম এ উৎসবের আনন্দ ঈদুল আজহার নামাজের পর বাংলাদেশি কমিউনিটিতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে ডেনমার্কে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগে বিভিন্ন মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসব ঈদ জামাতে বাংলাদেশি প্রবাসীরা ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য ও বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা অংশ নেয়।
এর মধ্যে বাংলাদেশি প্রবাসীদের পরিচালিত দু’টি মসজিদের মধ্যে ব্রনশয় টর্ভে অবস্থিত দারুল আরকাম সেন্টার মসজিদে সকাল ৮ টা, ৯ টা ও ১০ টায় ৩টি ঈদের জামাত এবং নরেব্রোতে অবস্থিত বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায় মোট ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে লাচ্ছা, সেমাই, মিষ্টান্নসহ বিভিন্ন খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
ঈদের নামাজ শেষে বেলাহয় মাঠের পাশেই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন ধরণে খাবার, বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডেনমার্কে প্রকাশ্যে রাস্তাঘাটে পশু জবাই করার অনুমতি না থাকায় এখানে কোরবানির পশু জবাইয়ের প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রথা বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ থেকে একটু আলাদা। এখানে যারা পশু কুরবানী দেন তারা নির্দিষ্ট কোনো পশুর খামারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পশুর ওজনের সঙ্গে মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। খামারী পশু কোরবানির সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে কোরবানিদাতাদের কাছে মাংস পৌঁছে দেন। এরপর কোরবানিদাতা মাংস আত্মীয়-স্বজন বা অন্যান্য প্রবাসীদের মধ্যে বিতরণ করেন।
ডেনমার্ক শাখা বিএনপির সভাপতি গাজী মনির আহমেদ বলেন, কোপেনহেগেনে বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের পক্ষ থেকে ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসী ভাইবোনদের জন্য লাচ্ছা, সেমাইসহ বিভিন্ন খাবারের ব্যবস্থা করেছি। যাতে করে বাংলা কমিউনিটির মুসলিম ভাই-বোনেরা আনন্দ ও হাসিখুশির মধ্য দিয়ে সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ডেনমার্ক এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়া হাসান বলেন, দেশ, পরিবার ও আত্মীয় স্বজন ছেড়ে প্রবাসে ঈদ উদযাপন করলেও আমাদের ঈদের আনন্দের কোনো কমতি নেই। এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা হাসিখুশি আনন্দের মধ্য দিয়েই ঈদ উদযাপন করছি। তবে দেশ এবং দেশের মানুষকে মনে পড়ছি।
বাংলাদেশি প্রবাসী আতিকুল ইসলাম বলেন, দেশের বাইরে এক অন্য রকম ঈদ এটি। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও দেশের মাটি ছেড়ে ডেনমার্কের ঈদ উদযাপন কিছুটা কষ্টের বটে। পরিবারকে অনেক মনে পড়ছে। এখানে বাংলাদেশি ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা হয়ে কিছুটা ভালো লেগেছে।
আপনার মতামত লিখুন : :