গত এপ্রিলের মতো বিদায়ী মে মাসেও বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠানোয় শীর্ষে ওঠে এসেছে সৌদি আরব। যদিও এর আগের তিন মাসে (জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ) প্রবাসী আয় পাঠানোয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। বিদায়ী মে মাসে সৌদি আরবের পরে দ্বিতীয় স্থানে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য (ইউকে)। প্রবাসী আয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৯৬ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। মাসের হিসেবে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো গেল মাসে। যেখানে গত এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। পবিত্র রমজান বা গত মার্চ মাসে প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া লেগেছিল। মার্চে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। মাসের হিসাবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল মার্চে।
বিদায়ী মে মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। এরপর শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য (ইউকে), মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসে সৌদি আরবের প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে। এছাড়া আলোচিত সময়ে মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর থেকে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪ কোটি চার লাখ ২০ হাজার ডলার, ২২ কোটি ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার, ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার, ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, ১৪ কোটি দুই লাখ ২০ হাজার ডলার, ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও ১০ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এছাড়া বাহরাইন থেকে এসেছে আট কোটি ৫১ লাখ ডলার, সাউথ আফ্রিকা থেকে সাত কোটি ৫৮ লাখ ডলার, সাউথ কোরিয়া থেকে তিন কোটি ৩২ লাখ ডলার, ফ্রান্স থেকে তিন কোটি ১৪ লাখ ডলার, কানাডা থেকে দুই কোটি এক লাখ ৮০ হাজার ডলার, অস্ট্রেলিয়া থেকে এক কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার, জর্ডান থেকে এক কোটি ৮৬ লাখ ডলার, গ্রিস থেকে এক কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ডলার, মরিশাস থেকে এক কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, জার্মানি থেকে এক কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার, স্পেন থেকে এক কোটি ৩৩ লাখ ডলার, মালদ্বীপ থেকে এক কোটি ২৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।
পর্তুগাল থেকে ৮৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার, লেবানন ৮৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, ব্রুনাই দারুসসালাম থেকে ৮১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, জাপান থেকে ৭০ লাখ ১০ হাজার ডলার, ইরাক থেকে ৬৬ লাখ ন৩০ হাজার ডলার, পোল্যান্ড ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার, সুইডেন থেকে ৫২ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং ফিনল্যান্ড থেকে ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার এসেছে। অন্যান্য দেশ মিলে প্রবাসী আয় এসেছে চার কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
আপনার মতামত লিখুন : :