• ঢাকা
  • সোমবার, ০৯ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

ঈদে অতিরিক্ত খেয়ে অস্বস্তি? আছে সহজ সমাধান


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | স্বাস্থ্য ডেস্ক জুন ৯, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম ঈদে অতিরিক্ত খেয়ে অস্বস্তি? আছে সহজ সমাধান

ঈদের দিন মানেই আনন্দ আর উৎসব। হুল্লোড়ে মন না চাইলেও অনেক সময় বেশি খেতে হয়। আর যদি হয় কোরবানির ঈদ, খাওয়াদাওয়া যেন পরিমাণে আরও বেড়ে যায়। উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ গরু বা খাসির মাংসের নানা রেসিপি অনেকের বাড়িতেই তৈরি হয়। হঠাৎ অতিরিক্ত খাওয়ায় পেটে অস্বস্তি কাজ করে, দেখা দেয় হজমজনিত সমস্যার পেট ফাঁপা, বুকে জ্বালাপোড়া, ঢেকুর, অম্বল, এমনকি বমি ভাবও। তবে কিছু সহজ উপায়ে এই অস্বস্তি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। 
আসুন জেনে নিই, ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে কী করলে এর প্রতিকার মিলবে।
কুসুম গরম পানি
অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে খাওয়ার ৩০-৩৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি পান করুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুসুম গরম পানি খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। কুসুম গরম পানি পেটের গ্যাস বা অস্বস্তি কমাতে কার্যকর।
প্রচুর পানি
খাবার থেকে সৃষ্টি হওয়া বর্জ্য শরীর থেকে বের করতে বেশি পানির প্রয়োজন হয়। তাই প্রচুর পানি পান করুন। পানি হজম প্রক্রিয়াকে সচল রাখে এবং শরীর সুস্থ রাখে। এক্ষেত্রে, ডাবের পানি ও পানিপূর্ণ ফলও খাবারের তালিকায় রাখুন।
জিরা পানি
পানিতে ১ চা চামচ জিরা ফুটিয়ে ছেঁকে সেই পানি পান করা যেতে পারে। এটি পেট ফাঁপা ও গ্যাস কমাতে কার্যকর।
শশা
মাংস, সেমাই বা সিন্নি ইত্যাদি মুখরোচক খাওয়ার পর যত বেশি সম্ভব শশা খাওয়া উচিত। শশা হজমে সহায়তা করে এবং খাবার চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করে। পেঁপে বা আপেলের মতো আঁশযুক্ত খাবার খেতে পারেন। এতে হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে।
আদা
রিচ ফুডের পর আদা চিবিয়ে খেলে উপকার পেতে পারেন। এছাড়া, আদার সঙ্গে মধু মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
টক দই বা ঘোল
টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। ঘোলও পেট ঠাণ্ডা রাখতে সহায়ক।
হালকা হাঁটাহাঁটি
ভারি খাবার খাওয়ার পরপরই বিছানায় শুয়ে পড়া বা ঘুমিয়ে পড়া উচিত নয়। এতে শরীর ক্যালোরি বার্ন করার সুযোগ হারায় এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। তার চেয়ে বরং কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এতে হজম যেমন দ্রুত হবে, তেমনি রক্তে শর্করার পরিমাণও কমবে। শরীরও কিছুটা চাঙা বোধ হবে।
সফট ড্রিংকস খাবেন না
অনেকে অতিরিক্ত খাওয়া শেষ করেই চুমুক দেন কোল্ড ড্রিংকসের বোতল বা গ্লাসে। এটি করা যাবে না। কার্বোনেটেড পানীয়ের মাধ্যমে আপনি গ্যাস গিলে ফেলেন, যা আপনার পাচনতন্ত্রকে আরও পূর্ণ করে দেয়। এতে আরও বেশি হাঁসফাঁস লাগতে শুরু করে।
তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Side banner