জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীতে যখন রাষ্ট্রীয় আয়োজন চলছে, ঠিক সেই সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ শীর্ষ নেতা অবস্থান করছেন কক্সবাজারে। তারা সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাসের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেছেন এমন খবর ছড়িয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যমে।
তবে বৈঠকের বিষয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস অবগত নয় এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র আশা বে এমনটিই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।
পিটার হাস এখন একজন বেসরকারি নাগরিক উল্লেখ করে আশা বে বলেন, ‘তিনি কোনো বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে এনসিপির পাঁচ নেতা ঢাকা থেকে কক্সবাজার যান। তারা হলেন মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তারা গাড়িতে করে ইনানীর ‘সী পার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’ (রয়্যাল টিউলিপ নামেও পরিচিত) হোটেলে যান। দুপুরের পর হোটেল প্রাঙ্গণে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এরপর থেকেই পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের ব্যক্তিগত সফর। পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক সংক্রান্ত যেসব খবর ছড়ানো হচ্ছে, তা পুরোপুরি গুজব। আমরা এমন কোনো বৈঠকের বিষয়ে কিছুই জানি না।
তবে এনসিপির শীর্ষ নেতারা বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজারে অবস্থান করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে তারা কি তবে বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না?
আপনার মতামত লিখুন : :