রায় জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সাতদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন সাতদিনের রিমান্ড শেষে খায়রুল হককে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক খালেক মিয়া।
আটক রাখার আবেদন বলা হয়, সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে খায়রুল হককে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডিজ্ঞাসাবাদকালে খায়রুল হকের কাছে এই মামলার ঘটনা সংক্রান্তে প্রাপ্ত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আসামি এই মামলার ঘটনায় বিষয়ে সেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করতে ইচ্ছুক না থাকায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। মামলাটি তদন্তাধীন, মামলার তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত আবশ্যক। আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খায়রুল হক শেখ হাসিনার ইচ্ছাপূরণ ও অবসর পরবর্তী পদায়নের লোভে দুর্নীতিমূলকভাবে রায় পরিবর্তন করে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।
গত ২৪ জুলাই ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাকে এক কিশোর হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন : :