• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | অর্থনীতি ডেস্ক আগস্ট ৭, ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

এক বছরের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সবচেয়ে ভালো খবরটি এলো। সর্বশেষ মোট রিজার্ভের পরিমাণ  দাঁড়িয়েছে ৩০.০৭ বিলিয়ন বা তিন হাজার সাত কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর নিট রিজার্ভ বা আইএমএফের হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫.০৫ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৫০৫ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
বুধবার (৬ আগস্ট) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। বর্তমান ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলারে।
আগের বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এক বছরে ধাপে ধাপে বেড়ে রিজার্ভ এ উচ্চতায় উঠেছে। এক বছর আগে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার। আর নিট রিজার্ভ ছিল ২০.৩৯ বিলিয়ন ডলার। সে সময় ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ নেমেছিল ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস-প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। এতে করে রিজার্ভের ওপর যে চাপ দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছিল, তা অনেকটাই কমে এসেছে। টানা ১০ মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করায় পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হয়ে উঠছে।
এরই মধ্যে দেশের ব্যাংক খাত, রাজস্ব প্রশাসন ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কারণে বাজেট সহায়তা ও ঋণসহ কয়েক বিলিয়ন ডলার বিদেশি অর্থ সহায়তা দেশে আসছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়ছে।
অন্যদিকে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত থাকায় এবং রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়ায় ডলারের চাহিদাও কমেছে। যার প্রভাবে টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময়মূল্য সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে ডলারের দাম যাতে অত্যধিক কমে না যায়, তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি মাসে নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার কিনেছে। এর ফলে বৈদেশিক রিজার্ভের ঊর্ধ্ব ধারা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকবে।