• ঢাকা
  • রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

নেত্রকোণায় ভাবিকে গলা কেটে হত্যা, দেবরের মৃত্যুদণ্ড


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | স্টাফ রিপোর্টার জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম নেত্রকোণায় ভাবিকে গলা কেটে হত্যা, দেবরের মৃত্যুদণ্ড

নেত্রকোণায় ভাবিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মো. রাসেল মিয়া নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই দণ্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. রাসেল মিয়া নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. আলাল উদ্দিনের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার লিপি আক্তার জারিয়া গ্রামের আফতাব উদ্দিন সরকারের মেয়ে।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি রাসেল মিয়া নিহত লিপি আক্তারের চাচাতো দেবর হয়। তারা একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে বসবাস করতেন। নিহত লিপি আক্তারের স্বামী মো. আজিজুল ইসলাম বিজিবিতে চাকরি করার সুবাদে পঞ্চগড়ে বসবাস করেন।
নিহতের স্বামী বাড়িতে না থাকার সুবাদে আসামি রাসেল মিয়া লিপি আক্তারকে বাড়িতে এবং রাস্তাঘাটে সুযোগ পেলেই কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
উত্যক্ত করার একপর্যায়ে লিপি আক্তার তার স্বামী মো. আজিজুল ইসলাম, আসামি রাসেল মিয়ার ভাই ও রাসেল মিয়ার বাবা-মার কাছে ঘটনাটি জানায়। এরই জের ধরে আসামি রাসেল মিয়া লিপি আক্তারকে আরও বেশি উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
ঘটনার দিন ৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখ রাত অনুমান ৯টা ৩০ মিনিটের সময় রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে লিপি আক্তার তার ছেলে আলিফকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিম ভিটার বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন।
৪ অক্টোবর রাত ২টা ৩০ মিনিটে আসামি রাসেল মিয়া, লিপি আক্তারের বসতঘরে রাতের অন্ধকারে কৌশলে প্রবেশ করে এবং তার সঙ্গে থাকা ধারালো এন্টিকাটার দিয়ে লিপি আক্তারের গলার শ্বাসনালী কেটে তাকে হত্যা করে। পরবর্তীতে আসামি নিজে আদালতে দোষ স্বীকারোক্তি প্রদান করে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। আসামির উপস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হিসেবে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবুল হাশেম এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান।