• ঢাকা
  • শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

দীর্ঘ জীবন চাইলে যা খেতে হবে


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | জীবনযাপন ডেস্ক আগস্ট ২, ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম দীর্ঘ জীবন চাইলে যা খেতে হবে

আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ বর্তমানে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তরুণদের মধ্যেও বর্তমানে এইসব রোগের বিস্তার দেখা যাচ্ছে। আগামী বছরগুলোতে আরও বাড়তে পারে। এর জন্য দায়ী করা যেতে পারে, আজকের জীবনযাত্রাকে। বিরতি ছাড়া স্ক্রিনের সামনে প্রচুর বসে থাকা, কাজের চাপের কারণে খাবার এড়িয়ে যাওয়া, ঘন্টার পর ঘন্টা অনাহারে থাকার পরে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস- এই কারণগুলো জন্য আমরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি মধ্যে ফেলে দিয়েছে। জীবনধারার কয়েকটি পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারি।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন এবং নিজেই পরিবর্তনটি প্রত্যক্ষ করুন-
মিষ্টি স্বাদের ফলটি শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। এতে থাকে প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ নানা রকম পুষ্টি উপাদান-যা শরীর ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। ডুমুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ডুমুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শুকনা ডুমুরে থাকে প্রচুর আয়রন ও জিংক, যা ইমিউন সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে। প্রতিদিন মাত্র একটি ডুমুর খেলে মেদ ঝরতে পারে। এতে থাকা ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অকারণে খাওয়া কমায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে ডুমুর ফল রাখুন।
আপেল
আপেলে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফেট এবং ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য আমাদের ভিটামিন সি প্রয়োজন। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। আপেল খেলে খানিকটা ভিটামিন বি-ও পাবেন। আপেলের খোসার আঁশ রক্তের খারাপ চর্বি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে। ফলে হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমায়। আপেলে পানির পরিমাণও বেশি। তাই পানিশূন্যতা এড়াতেও কাজে লাগে আপেল।এটিতে পলিফেনলের উপস্থিতির কারণে ডায়াবেটিস নিরাময় করে যা অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষের টিস্যুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিসের কারণে মানুষের শরীরের বিটা কোষগুলো রক্ষায় নিয়মিত আপেল খাওয়ার চেয়ে ভালো আর কোনও প্রতিকার নেই।
গ্রিন টি
গ্রিন টিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করে, চর্বি কমাতেও ভূমিকা রাখে। এই গ্রিন টি পানেরও কিছু নিয়ম আছে। তা মেনে গ্রিন টি পানে মিলবে অধিক উপকার। গ্রিন টিতে ক্যাটেচিন নামের উপাদান মস্তিষ্কের রোগের নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি নিউরনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং আলঝাইমার থেকে রক্ষা করে।
স্পিরুলিনা
স্পিরুলিনা একটি নীলাভ-সবুজ শৈবাল। এটি সাধারণত পানিতে জন্মে। তবে সামুদ্রিক শৈবাল হিসেবেই এটি বেশি পরিচিত। প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন এবং তামায় উপকারী পুষ্টি উপাদানে ভরপুর বলে একে ‘সুপার ফুড’ বলা হয়। স্পিরুলিনা মানবদেহে রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। এই চমৎকার খাদ্যতালিকাগত গুনাগণ রোগমুক্ত জীবনযাপন করতে সহায়তা করতে পারে।
কারকিউমিন
হলুদে পাওয়া হলুদ রঞ্জক পদার্থ। কারকিউমিন মানবদেহের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উৎপাদনে সাহায্য করে। হলুদ থেকে এই উপাদানটি মানুষের হতাশা এবং উদ্বেগ নিরাময়ের পাশাপাশি কোলেস্টেরল, রক্তে গ্লুকোজ এবং রক্তচাপ কমাতে পারে। এর আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হল বার্ধক্য দেরিতে আসতে সাহায্য করে।
রসুন
রসুন পুষ্টিগুণে ভরপুর, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে পারে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, বি৬, ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম। এসব উপাদান ইমিউনিটি বাড়াতে অবদান রাখে। নিয়মিত রসুন খেলে সর্দি ও ফ্লু দূরে থাকে। এছাড়া রসুনের সালফার যৌগ শরীরকে টক্সিন (বিষাক্ত বর্জ্য) এবং ভারী ধাতু দূর করতে সাহায্য করে। রক্তে থাকা সিসার মাত্রাও কমাতে পারে। এর ডিটক্সিফাইংয়ের প্রভাবে গ্লুটাথিয়নের উৎপাদন বাড়ে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা যকৃৎকে বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণে সাহায্য করে। রসুন খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল প্রতিদিন খালি পেটে দুটি কাঁচা কোয়া খাওয়া।
আমলকী
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটি করে আমলকী খান। এই দারুণ অভ্যাসটি আপানাকে দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে। আমলকী ভিটামিন সি ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অন্যতম সেরা উৎস। ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।বেশি উপকারিতা পেতে প্রতিদিন খালি পেটে এক চামচ তাজা কুঁচি করা আমলকি খান।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া