গণতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি, কিন্তু পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা আজমপুরের আমির কমপ্লেক্সের সামনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, আগামী ডিসেম্বর কিংবা ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু নির্বাচন সামনে রেখে একটি চক্র আল-বদর বাহিনী দেশের ভেতরে সংস্কার বিচারের নামে ফ্যাসিবাদকে উস্কে দিচ্ছে এবং নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রকে আর সফল হতে দেব না।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানাবো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা গত ৫ আগস্টের পর অন্তবর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছি। দেশের সাধারণ মানুষও সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু সেই সরকারে কিছু দল আল-বদর বাহিনী ঢুকে আবার ফ্যাসিবাদ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—সবার আগে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।
আমিনুল হক বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান কেবল জুলাই-আগস্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এটি ছিল গত ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফল, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপ ছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন, যা আমরা ৫ আগস্ট অর্জন করেছি। তবে এখনও আমরা পরিপূর্ণভাবে স্বৈরাচার মুক্ত হইনি। গণতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি, কিন্তু তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে তিনি বলেন, এই আত্মত্যাগ কখনই বৃথা যেতে পারে না। আমাদের সংগ্রাম চলবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামানের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নূরুল ইসলাম মনি, মোরশেদ হাসান খান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জাসাসের সভাপতি হেলাল খান, তাতী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় নেতা মনজুরুল ইসলাম মন্জুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন : :