সারাদেশে সরকারি নির্দেশনায় “জুলাই বিপ্লব” স্মরণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। অথচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার একমাত্র সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঞ্ছারামপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালন করা হয়নি। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (ডিএসএইচই) গত জুন মাসে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে জুলাই বিপ্লব স্মরণে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশনা জারি করে। উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত পুরস্কারসহ আয়োজনের রূপরেখাও প্রদান করা হয়। কিন্তু বাঞ্ছারামপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কোনো প্রকার আয়োজন ছাড়াই দিন পার করেছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা ছবির খাতায় ইতিহাস আঁকতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের সেই সুযোগটুকু দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে একজন অভিভাবক বলেন, সরকারি আদেশের প্রতি এ ধরনের উদাসীনতা মেনে নেওয়া যায় না।
প্রতিষ্ঠানটি উপজেলায় সবচেয়ে বড় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এই অবহেলায় উপজেলা জুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ের এইচএসসি পরীক্ষা চলতেছে, তাই সময়মতো চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা করতে পারিনি। আমরা শনিবার এ অনুষ্ঠান করব।
তবে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থী ভিন্ন মত দিয়ে বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার চাইলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারতেন। উপজেলার অন্যান্য স্কুলেও তো পরীক্ষা চলতেছে, কিন্তু তারা সময়মতো আয়োজন করেছে।
এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সচেতন মহলের প্রশ্ন, যখন ইউনিয়নভিত্তিক স্কুলগুলোতেও সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিযোগিতা হচ্ছে, তখন কেন উপজেলার একমাত্র সরকারি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান তা মানল না?
উল্লেখ্য উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ওই সময় পার হয়ে যায়। আর সেই কারণে প্রতিযোগিতার মাঠ থেকে ছিটকে পড়ে বাঞ্ছারামপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন : :