রাঙামাটির কাউখালীতে এক পোলট্রি ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মো. মামুন নামের ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে উৎকণ্ঠায় রয়েছে তাঁর পরিবার। এলাকায় ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত ৭ জুলাই কাউখালীর সুগারমিল আদর্শ গ্রাম এলাকা থেকে মামুন (৩৫) নিখোঁজ হন। পরে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে তাঁর পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করলেও এখনও মামুনকে উদ্ধার করা যায়নি।
জানা যায়, ৭ জুলাই দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন মামুন। রাতে তিনি স্ত্রী সীমা আক্তারকে ফোন করে দুটি ব্যাংক চেক চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাটে আনোয়ার নামের এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে বলেন। এ সময় তিনি ঝামেলায় আছেন বলে জানান। মামুনের বাবা আলী আহম্মদ ওই দিন রাতে চেক দুটি আনোয়ারকে দেন। পরদিন মামুনের ফোন থেকে সীমাকে জানানো হয় তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। ওই দিনই সীমা কাউখালী থানায় জিডি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা চেক গ্রহণকারী আনোয়ারকে আটক করে পুলিশে দেয়। তাঁকে আটকের পর অপহরণের সঙ্গে মামুনেরই পোলট্রি খামারের সাবেক কর্মচারী কামরুলের নাম উঠে আসে।
মামুনের স্ত্রী সীমা আক্তার জানান, গত রবিবার রাতেও অপহরণকারীরা তাঁর কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে ফোন দিয়েছে। তিন সন্তান ও শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন তিনি।
কাউখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, মামুনকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। চেক গ্রহণকারী আনোয়ারকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন : :