খাগড়াছড়িতে অস্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন রথযাত্রা মেলায় অংশ নেওয়ার পর রাতে ওই শিক্ষার্থীরা এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে গভীর রাতে ৬ যুবক জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে তার আত্মীয়কে বেঁধে রেখে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, সামাজিক লোকলজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে মেয়েটি প্রথমে কিছুই জানায়নি। কিন্তু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গত ১২ জুলাই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের জিজ্ঞাসায় স্কুল শিক্ষার্থী ঘটনাটি সম্পর্কে পরিবারকে অবগত করেন। ভুক্তভোগী কিশোরী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, মামলার দিন রাতেই অভিযুক্ত ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুইজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়ার পক্ষে জেলা বিএনপির নেতারা চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীর খোঁজ নেন এবং তার পরিবারের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন। এসময় বিএনপি নেতারা ঘটনার নিন্দা ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, সহ-সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, অনিমেষ চাকমা রিংকুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন : :