প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সূচি অনুযায়ী গুটি আম নামানোর মধ্য দিয়ে আজ থেকে বাজরে দেখা মিলবে নওগাঁর আম।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল থেকে বিভিন্ন উপজেলায় পরিপক্ব হওয়া স্বল্প পরিসরে গুটি জাতের এই আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন আম চাষি ও বাগানিরা। এরপর এই আম বাজারজাত করা হবে। নিম্নমানের এসব গুটি আম খুব একটা সুস্বাদু হয় না। ফলে আচার এবং ম্যাংগো ড্রিংকস তৈরির কাজেই বেশি ব্যবহার হয়।
তবে সুস্বাদু ও উন্নত জাতের আমের জন্য ভোক্তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী নওগাঁয় সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত ও দেশসেরা সুমিষ্ট আম্রপালির দেখা মিলবে আগামী ১৮ জুন। এছাড়া জিআই স্বীকৃতি পাওয়া নাক ফজলি ৫ জুন থেকে বাজারে আসার কথা রয়েছে।
প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সূচি অনুযায়ী, গোপালভোগ ৩০ মে, হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ২ জুন থেকে থেকে পাড়া যাবে। এ ছাড়াও নাক ফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া-হাড়িভাঙা ১০ জুন, আম্রপালি ১৮ জুন, ফজলি এবং ব্যানানা ম্যাংগো ২৫ জুন থেকে গাছ থেকে নামাতে পারবেন চাষিরা। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে সংগ্রহ করা যাবে আশ্বিনা, বারি-৪ ও গৌড়মতি। শোষণের বেঁধে দেওয়া সময়সূচির আগে কোন আম বাজারে পেলেই ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। তবে কোন বাগানে নির্ধারিত সময়ের আগেই আম পেঁকে গেলে তা স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।
সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাহাপুর গ্রামের আম চাষি রাকিব হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী গুটি আম পাড়া শুরু হয়েছে। প্রথম দিন খুব বেশি আম পাড়ার পরিকল্পনা নেই। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আজ প্রথম দিন। তাই আমের দাম ঠিকঠাক বলা যাচ্ছে না। আশা করছি, ভালো দাম পাব। কারণ এবার আম কম ধরেছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অপরিপক্ব আম কেউ যাতে বাজারে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করার দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আজ থেকে গুটি জাতের নাম নামানো শুরু হয়েছে। জেলায় এ বছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। যা থেকে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৪ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার আম-বাণিজ্য হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন : :