ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ না পড়ানোর আগ পর্যন্ত সমর্থকদের উদ্দেশে রাজপথ না ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। মেয়র হতে এবার জনতার আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ইশরাক বলেন, আন্দোলনকারী জনতার প্রতি সর্বাত্মক সংহতি জানাতে এবং তাদের সাথে যতদিন প্রয়োজন রাজপথে সহঅবস্থান করার জন্যে অল্প সময়ের মধ্যেই হাজির হব ইনশাআল্লাহ।
এর এক ঘণ্টা আগে তিনি আরেকটি পোস্ট দেন। যেখানে লিখেন, গেজেট প্রকাশের পর পতিত ফ্যাসিবাদের অন্যতম শীর্ষ কর্তা অপসারিত মেয়র তাপসের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার চাপ প্রয়োগ করে নির্বাচন কমিশনে রীতিমত চিঠি লিখে। গেজেট প্রকাশের পর শপথ অনুষ্ঠান না করে এই ধরনের চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এক প্রকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এটি দেখে আইন সম্বন্ধে যারা জানে তারা হতবাক ও চরম বিস্মিত হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। কোর্টের রায় কার্যকর করতে তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাপসের এই কাজটি করে না দিতে পেরে এখন তাপসের টাকা খেয়ে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ করেছে একটি রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ কেও তুললে কি ভুল বলা হবে?
তার আগে দুপুরে তিনি আরেকটি পোস্ট দেন যেখানে তিনি আন্দোলনকারীদের নির্দেশ দেন রাজপথে থাকার। তিনি পোস্টে লিখেছেন, নির্দেশ একটাই যতক্ষণ দরকার রাজপথ ছেড়ে উঠে আসা যাবে না।
তার আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি আবারও গ্রহণ করা হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ধার্য করা হয়। বিচারপতি মো আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে বুধবার সকাল থেকেই ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা মৎস্য ভবন, কাকরাইল ও প্রেসক্লাব এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, এদিন সকাল ১০টার মধ্যে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসায় নতুন এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জাতীয়তাবাদী সমর্থিত কর্মচারী সমিতির লোকজন। অন্যান্য দিনের মতো আজও নগর ভবনের বিভিন্ন বিভাগের অফিসে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন তারা। একইসঙ্গে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, ময়লা পরিবহন কার্যক্রম, নাগরিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন : :