বগুড়া সোনাতলায় গত ক’দিন একটানা বৃষ্টিতে বোরো ধান ও খড় শুকানো নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দিনভর রৌদ্রের দেখা নেই বললেই চলে। এতে করে ধান মাড়াই সিদ্ধ শুকান এবং খড় শুকানো সব মিলিয়ে একেবারেই বিপদের মধ্যে রয়েছে কৃষকেরা। যদিও কৃষকরা জানান এবার বৃষ্টির পানিতে খড় পচে ও তলিয়ে যাওয়ার কারণে গো-খাদ্যে দেখা দিবে চরম সংকট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটানা ৩দিন বৃষ্টিতে কৃষকের জমির বোরো ধানের গোড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে কৃষকরা বৃষ্টির পানিতেই সীমাহিন দুর্ভোগে তাদের স্বপ্নের ধান কাটছেন। আবার অধিকাংশ ধান কাটা হলেও মারাই করতে না পাড়ায় ধানের স্তূপ থেকে গাছ জ্বালিয়েছে। এতে করে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।
পাকুল্যার কৃষক মতিয়ার জানান, তার ঘরে ধানের স্তূপ। অধিক বৃষ্টির কারণে ধানগুলো এ ঘর থেকে অন্য ঘরে স্থানান্তর করেও ধান রক্ষা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
রানীরপাড়ার হোসনে আরা নামক এক কৃষাণী জানান, তার অধিকাংশ জমির ধান কাটা হলেও ধানগুলো একত্রিত থাকায় গরমে গাছ জ্বালিয়েছে। এতে করে আর্থিক ভাবে প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।
কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে এ উপজেলায় প্রায় ৮০/৮৫ভাগ বোরো ধান কর্তন করেছে কৃষক। তবে ক’দিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে হয়তোবা ১০/১৫ভাগ ধান মাঠে রয়েছে। তবে তাদের ধারণা মতে যে ধান মাঠে রয়েছে সে ধান নিরাপদ। যে ধান কৃষকরা কেটে বাড়িতে এনেছেন কিন্তু বৃষ্টির কারণে মাড়াই করতে পারেনি সেই ধান নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন কৃষক। আর হয়তোবা ধানের স্তূপে গরমের কারণে কিছু ধানে অংকুর দেখা দিয়েছে।
এদিকে চার দিনের বৃষ্টিতে নদী নালা খাল বিল ভরে গেছে। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বাঙালি নদীর পানি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, এ উপজেলায় ১০হাজার ২শ ৩৫হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে বোরো ধান রোপণ করেছিলেন কৃষক। ফলে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩হাজার ৬শ ২মেট্রিকটন।
আপনার মতামত লিখুন : :