বগুড়া সোনাতলা বর্ষা মৌসুমে আমন ধানের চারা রোপণে একেবারেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন এবার বর্ষা মৌসুমে ৯হাজার ৭শ ১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও সকালে মাঠে গেলে চোখে পরবে প্রায় জমিতে ধানের চারার আঁটি বেঁধে বিছানো রয়েছে মাঠে। ফলে এজমি থেকে ওই জমিতে চলছে শ্রমিকদের ধানের চারা রোপণে প্রতিযোগিতা।
কৃষক জানিয়েছেন গত কয়েক বছর বৃষ্টির দেখা খুব একটা বেশি না মিললেও এবার শ্রাবণের প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের জন্য জমিতে পানির অভাব নেই। ফলে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ, আগাছা পরিষ্কার করে চলছে ধানের চারা রোপন।
তারা আরো জানিয়েছেন আমন ধান রোপনের এবার হয়তো বেশি খরচ হবে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন শ্রমিক সংকট।
ধান রোপণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিক লিয়াকত আলী জানান, মাঠ থেকে ধানের চারা উঠানো সহ ধান রোপণে ১৫শ থেকে ১৮শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
মধুপুরের কৃষক মৃগেন চন্দ্র বর্মন জানান, মাঠে চারা উঠানো পর ধান রোপণ, হালচাষ, কিটনাশক, সার মিলিয়ে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
অন্যান্য কৃষক জানান, শ্রমিকদের পাশাপাশি যদি মেশিনে ধানের চারা রোপণ করা যেতো তাহলে হয়তবা কিছু খরচ কম লাগতো।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছেন, এবার এই মৌসুমে কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত আমন ধানের চারা রোপন করছেন। তবে এই উপজেলায় প্রায় বেশির ভাগ জমিতে ধান ইতিমধ্যেই রোপণ করেছে কৃষক।
উল্লেখযোগ্য ধান সমূহ, ব্রিধান-১০৩, ব্রিধান-৭৫, ব্রিধান-৫২/৫৩, ব্রিধান-৯৪/৯৫, ব্রিধান-৫১, ব্রিধান-১০১ ও বিআর-১১ সহ স্থানীয় গুটি স্বর্ণা সহ বিভিন্ন জাত।কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বেশির ভাগ জমিতে কৃষক আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন। উপজেলায় প্রান্তিক ১৮শ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন : :