চিলির এল তেনিয়েতে তামার খনিতে আটকা পড়া পাঁচ শ্রমিকের সবাইকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, জানিয়েছে পরিচালনা কোম্পানি কোডেলকো। গত সপ্তাহে খনিটিতে এক ধসের পর এই শ্রমিকরা আটকা পড়েছিলেন। তাদের জীবিত উদ্ধারের প্রচেষ্টায় অভিযান চালানো হলেও তাতে সফল হওয়া যায়নি।
রবিবার কোডেলকো ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখার ও খনির নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার প্রত্যয় জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখনই এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। তার ৭০ ঘণ্টা পরে আটকা পড়া শেষ শ্রমিকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ফলে এই ঘটনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছয় জনে দাঁড়িয়েছে।
কোডেলকোর চেয়ারম্যান ম্যাক্সিমো পাচেকো জানিয়েছেন, রাষ্ট্র পরিচালিত খনি কোম্পানি কারণ তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের আহ্বান করবে আর তারা ‘আমরা কী ভুল করেছি’ তা নির্ধারণ করবে।
চিলির মধ্যাঞ্চলে রাঁকাগুয়া শহরের কাছে এল তেনিয়েতে খনিতে রেকর্ড করা অন্যতম সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পে ধসের ওই ঘটনাটি ঘটে। ভূমিকম্পের মাত্রার ছিল ৪ দশমিক ২। তবে ভূমিকম্প প্রবণ চিলিতে প্রাকৃতিকভাবেই ওই কম্পন ঘটেছে না খনির কার্যক্রমের কারণে ঘটেছে তা এখনও পরিষ্কার হয়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, খনিটিতে আটকা পড়া পাঁচ শ্রমিকের বয়স ছিল ২৯ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে।
বৃহস্পতিবারের ভূমিকম্পের পর আরেকটি পরাঘাত হয়। এই পরাঘাতের প্রভাব কমে আসার পর শুক্রবার উদ্ধার প্রচেষ্টা শুরু করা হয়।
রবিবার বিকালে কোডেলকো উদ্ধার প্রচেষ্টার বিষয়ে সর্বশেষ আপডেটে জানায়, তারা এল তেনিয়েতে খনির আন্দেসিতা অংশের কাছে দূর নিয়ন্ত্রিত ভারী মেশিনপত্র ব্যবহার করে ৩২৭০ মেট্রিক টন উপাদান অপসারণ করে ৮৪ ফুট পথ পরিষ্কার করেছে।
এই প্রচেষ্টায় শনিবার আটকা পড়া শ্রমিকদের মধ্যে প্রথমজনের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। বাকিদের মৃতদেহ পাওয়া যায় রোববার দিনের বিভিন্ন সময়। এই উদ্ধার অভিযানে প্রায় ১০০ জনের একটি টিম কাজ করেছে।
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক নিহত শ্রমিকদের স্মরণে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। কেডোলকো বিশ্বের সবচেয়ে বড় তামার খনি কোম্পানি আর চিলি এই খনিজটির সবচেয়ে বড় উৎপাদক। বিশ্বের মোট চাহিদার এক চতুর্থাংশ তামা চিলি সরবরাহ করে।
আপনার মতামত লিখুন : :