ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ আকবর আল উলুম আলীম মাদ্রাসায় অনুদানের টাকা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউট’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৭টি মাধ্যমিক ও ২টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুদান পায়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়। এরই মধ্যে একটি উপজেলার ফরদাবাদ আকবর আল উলুম আলীম মাদ্রাসা।
সম্প্রতি এই অনুদানের টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে বাঞ্ছারামপুর বার্তা পত্রিকার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারপরই ফরদাবাদ আকবর আল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমানের পক্ষে প্রফেসর মজিবুর রহমান বাঞ্ছারামপুর বার্তা পত্রিকা অফিসে যোগাযোগ করে ৫টি খাতের মধ্যে ২টি খাতের শিট পাঠিয়ে দেন।
পরে ওই তালিকায় দেখা যায়, শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনা ১ লাখ টাকা যথাসময়ে বিতরণ করা হয়। অনুদান পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান, উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, সহকারি অধ্যাপক (পৌরনীতি সুশাসন) মজিবুর রহমান, সহকারি অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, সহকারি অধ্যাপক আব্দুল বাতেন, প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রভাষক নাসরিন আক্তার, প্রভাষক আবদুল মালেক, প্রভাষক রুহুল আমিন, প্রভাষক আব্দুল্লাহ, প্রভাষক নজরুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক নার্গিস আক্তার, সহকারি শিক্ষক হোসাইন মুন্সি, সহকারি শিক্ষক রেজাউল করিম সরকার, সহকারি মৌলভী শহিদুল ইসলাম, অরুনা বেগম, সহকারি শিক্ষক ফেরদৌস সরকার, সোহরাফ হোসেন, আতাউর রহমান এবং আক্তার হোসেন।
এদিকে সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তার অনুদান পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আলিম প্রথমবর্ষের খাদিজা আক্তার, জামিল হোসেন, দশম শ্রেণীর জান্নাতুল নাঈম লামিয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস, জান্নাত আক্তার, নবম শ্রেণীর লামিয়া, অস্টম শ্রেণীর জান্নাতুল ফেরদৌস মারিয়া, মো. ইয়াছিন, অলিউল্লাহ সরকার শুভ, সপ্তম শ্রেণীর শাহিনুর আক্তার।
সুবিধা বঞ্চিত ২০ জন শিক্ষার্থীকে অনুদানের টাকা দেয়ার নিয়ম থাকলেও ১০ জনকে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ স্কীমের অনুদানের অর্থ ৫টি খাতে ব্যয় করার নির্দেশ দেয়া হয়। খাতগুলো হলো ১. শিক্ষকদের জন্য প্রণোদনা ১ লাখ টাকা। ২. বইপত্র, শিক্ষা উপকরণ, গবেষণাগার সরঞ্জাম ক্রয় এবং লাইব্রেরী উন্নয়নে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ৩. ছাত্র ছাত্রী বিশেষ করে ছাত্রীদের জন্য স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসার ফ্যাসিলিটি (অবকাঠামো/বিশুদ্ধ পানি/শৌচাগার/কমনরুম/হাইজিন কর্ণার ইত্যাদি) তৈরি, নির্মাণ, সংস্কার উন্নয়নে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ৪. সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ১ লাখ টাকা এবং ৫. বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিলিটি উন্নয়নে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই সাথে ৫টি শর্ত দেয়া হয়। যার মধ্যে অন্যতম একখাতের বরাদ্দের টাকা কোনভাবেই অন্যখাতে ব্যয় করা যাবে না। অথচ অনুদান পাওয়া উপজেলার ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি।
আপনার মতামত লিখুন : :