• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

বাঞ্ছারামপুরে স্কুল শিক্ষকদের বদলিতে অনিয়মের অভিযোগ


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | স্টাফ রিপোর্টার সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ০৩:২০ পিএম বাঞ্ছারামপুরে স্কুল শিক্ষকদের বদলিতে অনিয়মের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম মেনে আবেদন করা সত্ত্বেও অনেক যোগ্য শিক্ষকের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের তদবিরে নিয়মবহির্ভূতভাবে একাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রয়োজন না থাকলেও শিক্ষক বদলি করে পাঠানো হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বদলির আবেদন করেন উপজেলার ৩৫ শিক্ষক। এর মধ্যে ২৩ জন সরাসরি বদলি হন, ১০ জন প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলি হন ও দুজনের আবেদন বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। 
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বদলি আবেদন অনুমোদন। চর শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উম্মে হানি আক্তার তাঁর বদলির আবেদন বাতিল করায় প্রতিকার চেয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেন।
উম্মে হানি দরিয়াদৌলত উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির আবেদন করেন। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে তিনি ৩০ দশমিক ৬২ পয়েন্ট এবং শিক্ষক গোফরান খান ৩০ পয়েন্ট পান। উম্মে হানি আবেদনে তাঁর বাড়ি সোনারামপুর থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার দেখান গুগল ম্যাপ অনুযায়ী। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ মন্তব্যের ঘরে দূরত্ব দেখান আট কিলোমিটার। পয়েন্ট বেশি থাকার পরও তাঁর আবেদনটি বাতিল করে দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল ইসলাম। অথচ চর শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (সদ্য বদলি হওয়া) সহকারী শিক্ষক আনোয়ারা বেগম নিজ বাড়ি সোনারামপুর থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার দেখান, এর পরও তাঁর বদলির জন্য সুপারিশ করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
দরিয়াদৌলত দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে আটটি। গত ৭ এপ্রিল থেকে আটজন শিক্ষকই কর্মরত। পদ খালি না থাকলেও অনলাইনে পদ খালি দেখে সেখানে বদলির আবেদন করেন আবদুল আহাদ খান এবং বদলিও হন। 
কর্মকর্তাদের দাবি, বিষয়টি খেয়াল করেননি তারা। তবে চর শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিউলি আক্তার অনলাইনে পদ শূন্য দেখে দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির আবেদন করেন। বাস্তবে বিদ্যালয়ের সব পদে শিক্ষক থাকায় তাঁর আবেদনটি বাতিল করা হয়।
পাইকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবিনা আক্তার কদমতলী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির আবেদন করেন। আবেদনে তাঁর বিদ্যালয়ের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার দেখান। তবে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ১৬ কিলোমিটার দূরত্ব দেখিয়ে ত্রুটিপূর্ণ আবেদন হয়েছে মন্তব্য করার পরও বদলির সুপারিশ করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
উম্মে হানি আক্তার বলেন, আমার বাড়ি থেকে বর্তমান বিদ্যালয়ের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার দেখিয়েছি গুগল ম্যাপ অনুযায়ী। সেখানে তিন কিলোমিটার কমিয়ে আট কিলোমিটার দেখিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। গুগল তাহলে কি ভুল দেখাল। এই বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, উম্মে হানি তাঁর বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার উল্লেখ করেন। আমি আট কিলোমিটার দূরত্ব উল্লেখ করেছি, এই কারণে আবেদনটি বাতিল করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
তাঁর দাবি, দরিয়াদৌলত দক্ষিণের অনলাইনে পদ শূন্য থাকায় আবেদন করে একজন বদলি হয়েছেন। এখানে শূন্য পদ না থাকার কথা জানাননি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা।

Side banner

শিক্ষা এর আরও খবর