• ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.
দলিল লেখকদের কর্মবিরতি

আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সেবা পেতে ভোগান্তি


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | স্টাফ রিপোর্টার জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সেবা পেতে ভোগান্তি

আশুলিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে দলিল লেখকদের কর্মবিরতিতে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। র্দীঘ এক মাস এমন অচল অবস্থা চললেও সমাধানের উদ্যোগ নেননি কেউ। তবে সাব-রেজিস্ট্রারের দাবি, অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় দলিল লেখকদের একটি অংশ এ আন্দোলন করছে।
ভুক্তভোগী ও সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, দলিল লেখকরা সাব-রেজিস্ট্রার খাইরুল বাশার ভূঁইয়ার পদত্যাগের দাবিতে গত ১৭ জুন থেকে  কর্মবিরতি পালন করছেন। কেউ যদি দলিল নিবন্ধন করতে আসেন, কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে তাদের ফিরিয়ে দেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলিল লেখকরা। তবে কেউ যদি অন্য স্থান থেকে দলিল লেখে নিয়ে আসেন। এতে আন্দোলনকারীরা তাদের ওপর চড়াও হন এবং বাধা দেন।
ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক আলতাব হোসেন বলেন, সাভার সেন্ট্রাল মডেল কলেজের নামে হোসেন আলী নামে অপর এক ব্যক্তি ১০ শতাংশ জমি দান করবেন। সেই জমির দলিল করার জন্য সপ্তাহখানেক আগে আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসে গিয়েছিলাম। তখন দলিল লেখকরা বলেন কার্যক্রম বন্ধ আছে। পরে সাব-রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করলে তিনি অন্যস্থান থেকে দলিল লেখে লিয়ে আসতে বলেন। এরপরে সাভার থেকে দলিল লিখে এনে নিবন্ধনের কাজ সর্ম্পূণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে গত ২৩ জুন আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসে বন্ধকী দলিল করতে এসে আন্দোলনকারীদের মারধরের শিকার হয়েছেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আমির হোসেন। 
তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার খায়রুল বাশার ভূঁইয়ার অফিসে স্বেচ্ছাচারিতা, অসম্মান করে কথা বলা এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাসহ দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
আশুলিয়া দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার আমাদের সঙ্গে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও অসম্মান করে কথা বলেন। তিনি ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল করতে চান না। সে কারণে আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছি। এছাড়া জেলা সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসসহ বিভিন্নস্থানে স্বারক লিপি দিয়েছি। 
আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ মার্চ আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যোগ দেন সাব-রেজিস্ট্রার খায়রুল বাশার ভূঁইয়া। যোগদানের পরে সরকার নির্ধারিত দলিল নিবন্ধনের ফি আদায় করতে গেলে কয়েকজন দলিল লেখকের সঙ্গে মতের পার্থক্য দেখা দেয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য মতে, সেই মতের পার্থক্য থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।
সাব-রেজিস্ট্রার খাইরুল বাশার ভূঁইয়া বলেন, আমি সরকার নির্ধারিত ফি আদায়সহ নিয়মের মধ্যেই সব কিছু করছি। যারা আন্দোলন করছে, তাদের কাছে আমি অনুরোধ করে বলেছি আমার বিরুদ্ধে অন্তত একটি অভিযোগ প্রমাণ করুক। অনেকেই ভুল বুঝতে পেরে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া কেউ দলিল লেখে নিয়ে আসলে তার দলিল নিবন্ধন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Side banner