• ঢাকা
  • সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

ঈশ্বরদীতে ৮ কৃষককে পিটিয়ে জখম, দুই গরু জবাই করে পিকনিক


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | স্টাফ রিপোর্টার মে ২৫, ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম ঈশ্বরদীতে ৮ কৃষককে পিটিয়ে জখম, দুই গরু জবাই করে পিকনিক

পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও গোলাগুলির ঘটনায় অশান্ত চরে চাষাবাদ করতে গিয়ে ৮ কৃষককে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে চর থেকে কৃষকের দুটি বড় গরু লুট করে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করার ঘটনা ঘটেছে। 
রবিবার (২৫ মে) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়িস্থ পদ্মার চরে আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার কাকনের লোকজন এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। বর্তমানে চরে কেউ গেলেই তাদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 
আহতরা হলেন- উপজেলার সাঁড়া ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আইযুব আলীর ছেলে আনছার মাঝি (৬৭), আনছার মাঝির ছেলে মজনু (৩৫), একই উপজেলার মাঝদিয়া এলাকার সাদেকের ছেলে মাছিদুল (৩৬), মজিদুল (৪০), দুলাল খার ছেলে লিটন (৪০) এবং সোহান, আরাফাত ও এজাজুল। 
আহতদের মধ্যে লিটনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই প্রান্তিক কৃষক। পদ্মা নদীতে জেগে উঠা নিজস্ব ও লিজ নেওয়া জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন তারা। 
আহত আনছার মাঝি, মজনু, মাছিদুল, সোহান ও আরাফাত অভিযোগ করে বলেন, পদ্মা নদীর চরে ও নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনির সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা ভেড়ামারার বাহাদুরপুর এলাকার ইঞ্জিনিয়ার কাকনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা, হামলা, গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমরা কৃষক। আমরা তো কারও পক্ষের লোক না। পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা আমাদের পৈতৃক জমিতে চাষাবাদ করি। ঘটনার দিন আমরা নৌকা যোগে চাষাবাদ করার জন্য চরে যাই। সেই সময় কাকনের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে আহত করে।  তারা আমাদের দুটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করে খেয়েছে। 
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক সাহিদুল ইসলাম শিশির বলেন, আহতদের মধ্যে লিটনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠানো হয়েছে। অন্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 
এ বিষয়ে লক্ষ্মীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগও দেয়নি।

Side banner