ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থ্যানে বেশ সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধেও বরাবর আওয়াজ তুলেছেন তিনি। তবুও সম্প্রতি সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনার কারণে অভিনেত্রীকে ঘিরে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যে বিতর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজমেরী হক বাঁধনকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলে ট্রল করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বাঁধন নিজেও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
একইসঙ্গে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বিগত সময়ে তার নাম একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে জড়িয়েছে।
বাঁধন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম, কী দারুণ এক যাত্রা!
তিনি লিখেছেন, ২০২১ সালে আমি একজন গর্বিত ‘র’ এজেন্ট ছিলাম; তবে সেটা বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত বলিউড ছবি ‘খুফিয়া’-তে। ওই সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু, যারা দেখেননি দেখে ফেলেন! ওটিটি ফ্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আছে।
অভিনেত্রী লেখেন, ওই সিনেমায় অভিনয়ের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। আমি ‘খুফিয়া’ ছবির প্রিমিয়ারে পর্যন্ত যেতে পারিনি। কারণ, ভারতীয় হাইকমিশন আমার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল; একবার নয়, পাঁচবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরের (নুরুল হক নুর) সঙ্গে আমার একটা ছবি দেখে ভারতীয় হাইকমিশন খুব চিন্তিত ছিল। ছবিটি আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। শেষমেশ, ভিসার জন্য দেশের পরিচিত প্রভাবশালী মানুষদের সাহায্য নিতে হয়। হাই প্রোফাইল কিছু লোকজনের হাসাহাসির মাঝেই এক মাসের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা পাই।
এই ঘটনায় একজন অভিনেত্রীর দিকেও আঙুল তুলেছেন বাঁধন। যদিও তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি। তার কথায়, দুই প্রভাবশালী সূত্র থেকে জেনেছি, সিনেমার অন্যতম একজন নায়িকা আমার ভিসা জটিলতায় জড়িত ছিলেন। সে ব্যক্তি কে, তা অনুমান করা যেতে পারে! ভিসা জটিলতার কারণে টালিউড এবং বলিউডে অনেক ভালো কাজের সুযোগ হারিয়ে ফেলি। তবে থেমে থাকিনি।
বাঁধন লেখেন, জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় আমাকে বলা হলো সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-এর এজেন্ট। আমি নাকি ইউএসএআইডি থেকে টাকা নিয়ে ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব’ চালিয়েছি। তারপর হলাম জামায়াতের এজেন্ট। কারণ, আমি তাদের এক নেতার ভিডিও আমার পেজে শেয়ার করেছিলাম। আমার এক বন্ধু বলল, আমি নাকি মোসাদের হয়েও কাজ করছি। আর গতকাল রাতে আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম!
“বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ একজন আমার কাছে সিরিয়াসভাবে জিজ্ঞেস করে বসল, ‘টাকা খাইছো নাকি?’ আমাদের কী দারুণ একটা সমাজ! যে ব্যক্তি দেশকে ভালোবাসে না, সে ভাবে আর কেউ দেশকে ভালোবাসতে পারে না। এই লেখাটা আসলে মজা করে বলা, আরাম কর, হাসো আর একটু ভাবো।”
আপনার মতামত লিখুন : :