ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার দরিকান্দি গ্রামের সন্তান এডভোকেট একেএম জহিরুল হক লিল মিয়া ১৯৩৭ সালে ভারত উপমহাদেশের প্রথম নির্বাচনে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ছোট ছেলে নবাবজাদা নসরুল্লাহ'র সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। এই নির্বাচনে জনাব লিল মিয়া পরাজিত হলেও ঢাকা নবাব পরিবারের সন্তানের সাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তারপর লিল মিয়া সাহেব ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে এমএলএ নির্বাচিত হন এবং ১৯৫৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের প্রাদেশিক মন্ত্রীসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৩ সালে জনাব লিল মিয়া সাহেবের আপন ভাতিজা প্রফেসর ড.এ ডব্লিউ এম আব্দুল হক জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৫ সালে তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৯ সালে একই গ্রামের সন্তান দেশের বিশিষ্ট ধনী ও দানবীর মোজাম্মেল হক অদুদ মিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মোজাম্মেল হক অদুদ মিয়া ১৯৬৫ সালে বাঞ্ছারামপুর, নবীনগর, কসবা ও বুড়িচংসহ বর্তমানে চার থানা নিয়ে গঠিত নির্বাচনি আসন থেকে (এমএনএ) জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চার ভোটে পরাজিত হন। শুধু তাই নয়, তিনি ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর (এমএনএ) জাতীয় পরিষদ এবং এর দশদিন পর ১৭ ডিসেম্বর (এমএলএ) পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।
শাহজাহান আবদালী
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক
বক্তৃতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ঢাকা।
০১৮২৪২৯২০৪০
আপনার মতামত লিখুন : :