যশোরের শার্শা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কবীর উদ্দীন তোতা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ফের গ্রেপ্তার হয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্ত হন।
পরে পুলিশ তাকে পুনরায় আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে আদালতের মাধ্যমে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। তবে পুলিশ বলছে, কবির উদ্দিনকে চাঁচড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, জেলগেট থেকেই তাকে আটক করে শার্শা থানা ও ডিবি পুলিশ। পরে আরেকটি চাঁদাবাজি মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
কবির উদ্দিন ওরফে তোতা শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক রোকসানা খাতুন ও জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক ভুঞা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৬ মার্চ বিদেশে যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কবির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজিসহ তিনটি মামলা রয়েছে।
জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক ভুঞা বলেন, শার্শা থানায় কবির উদ্দিন বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। শার্শা থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চাঁদাবাজি মামলাটির বাদী শার্শার ব্যবসায়ী রিজাউল ইসলাম। মামলায় কবির উদ্দিনসহ সাতজন আসামি। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শার্শা বাজারে বাদীর দোকান রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চেয়ারম্যান কবির উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বাদীসহ আরও কয়েক ব্যবসায়ীকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ডেকে নিয়ে যান এবং ৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে বাদী ৩ লাখ টাকাসহ সবাই মোট ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা দেন। সে সময় আসামিদের ভয়ে বাদী প্রতিবাদ করতে পারেননি। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় তিনি শার্শা থানায় মামলা করেন।
আপনার মতামত লিখুন : :