শরীর সুস্থ রাখতে সবারই খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া উচিত। আর যদি শরীরে কোনো সমস্যা থাকে, তবে খাদ্যতালিকা মেনে খাওয়া উচিত। বর্তমানে মানুষ যে সমস্যায় সব থেকে বেশি ভোগেন তা হলো, কিডনি। ফলে খাদ্যাভাসে নজর দেওয়া অত্যাবশ্যক।
সঠিক পুষ্টির পাশাপাশি পটাশিয়ামের পরিমাণের উপরও নজর রাখা উচিত। আর এই পটাশিয়াম বেশি পাওয়া যায় নারকেলে।
নারকেল
পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপযোগী। এই মিনারেল আমাদের দেহে পেশির সংকোচন, স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং হৃৎস্পন্দন ঠিক রাখে। সাধারণত কিডনিই শরীরের পটাশিয়ামের মাত্রা বজায় রাখে। কিডনি অপ্রয়োজনীয় পটাশিয়াম শরীর থেকে বের করে দেয়। তবে সমস্যা হয়ে ওঠে কিডনির রোগে আক্রান্ত মানুষদের।
নারকেল ও কলা
অনেকেই অজান্তে এমন খাবার খেয়ে নেন, যাতে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এমন দুটি ফল হলো নারকেল ও কলা, যেগুলো ভুলেও একসঙ্গে খেতে নেই। এই দুই ফলে রয়েছে বিপুল পরিমাণে পটাশিয়াম, যা কিডনির রোগীদের ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে। যাদের কিডনি বিকল বা দুর্বল, তাদের শরীর থেকে পটাশিয়াম বের হতে না পেরে রক্তে জমে হাইপারক্যালেমিয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা তৈরি হতে পারে।
কলা
একটি মাঝারি কলায় থাকে ৩৭৫-৪৮৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, যা কিছুটা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া নারকেলের পানি আমরা সাধারণত শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে খেয়ে থাকি। তবে নারকেলের পানি ও শাঁসে রয়েছে অত্যধিক পটাশিয়াম, যা কিডনির রোগীদের জন্য খুব একটা ভালো নয়। সেখানে এই দুটি ফল একসঙ্গে খেলে তা শরীরে ডেকে আনতে পারে ঘোরতর বিপদ।
কিডনির সমস্যা
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কিডনির সমস্যা তখনই দেখা যায়, যখন কিডনি শরীর থেকে পটাশিয়াম বের করতে পারে না। ফলে রক্তে বাড়ে পটাশিয়ামের মাত্রা। পাশাপাশি বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও।
অনেকে ভাবেন সামান্য খাওয়া যেতেই পারে। তবে পুষ্টিবিদের মতে, এসব ফল সামান্য খেলেও ঝুঁকি থেকেই যায়। কোন ফলে কতটা পটাশিয়াম রয়েছে, তা বলা কখনোই সম্ভব নয়। ফলে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের এই দুটি ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।
আরো বিপদের বিষয়, অনেক সময় উপসর্গ বোঝা যায় না। চিকিৎসা নেওয়ার আগেই ক্ষতি হয়ে যায় শরীরের। ফলে কিডনির সমস্যায় ভোগা রোগীদের এই দুটি ফল একসঙ্গে অথবা আলাদাভাবে না খাওয়াই ভালো।
সূত্র : জি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন : :