• ঢাকা
  • সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

সাফ ফাইনালে নাটকীয় টাইব্রেকারে হারল বাংলাদেশ


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৯, ২০২৫, ০৮:৪১ এএম সাফ ফাইনালে নাটকীয় টাইব্রেকারে হারল বাংলাদেশ

টাইব্রেকার মানেই স্নায়ুযুদ্ধ। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের ফাইনালের টাইব্রেকার ছিল বেশ নাটকীয়তাপূর্ণ। বাংলাদেশ টাইব্রেকারের এক পর্যায়ে লিড নিয়েছিল। ভারত তাদের তৃতীয় শট পর্যন্ত এক গোলে পিছিয়ে ছিল। বাংলাদেশ চতুর্থ ও পঞ্চম শট মিস করে। ভারত চতুর্থ ও শেষ শটে গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়ে সাফ শিরোপা জিতেছে।
টাইব্রেকারে বাংলাদেশ প্রথমে শট নেয়। মিঠুর চৌধুরি গোল করে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন। ভারতও প্রথম শটে গোল করে। দ্বিতীয় শটে মুর্শেদ আলী গোলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। ভারতের দ্বিতীয় শট বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহিন হোসেন সেভ করেন। ম্যাচের প্রথম মিনিটে মাহিনের গোলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছিল। টাইব্রেকারে সেভ করে সেই ভুলের কিছুটা হলে দায় শোধ করেন।
নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশের গোলদাতা জয় আহমেদ তৃতীয় শটে গোল করলে টাইব্রেকারে স্কোর লাইন দাড়ায় ৩-১। বাংলাদেশ শিরোপার প্রায় দোরগোড়ায়। কিন্তু তখনও যে নাটকীয়তা বাকি। ভারত তৃতীয় শটে গোল করে ব্যবধান ৩-২ করে। বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ শট নিতে যান অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল। যিনি পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছেন। নিজে তিন গোল করেছেন আবার করিয়েছেন একাধিক। তার নেয়া শট পোস্টের উপর দিয়ে যায়। বাংলাদেশ খানিকটা চাপে পড়ে।
চতুর্থ শটে ভারত গোল করে ম্যাচে ৩-৩ এ সমতা আনে। পঞ্চম ও শেষ শট নেন শাহীন আহমেদ। তার নেয়া শট ভারতের গোলরক্ষক আটকে দেন। তখনই বাংলাদেশের পরাজয়ের শঙ্কা ভর করে। কারণ পঞ্চম ও শেষ শটে ভারত গোল করলেই চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহিন ভারতের শেষ শট আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তাতে ভারত শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে।
ভারত পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে। আজ ফাইনালের প্রথম মিনিটেই ম্যাচে লিড নেয়। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহিন পোস্ট থেকে একটু বেশি এগিয়ে ছিলেন। ভারতের ফরোয়ার্ড এটি খেয়াল করে তার মাথার উপর দিয়ে শট নেন। মাহিন সেই ফ্লাইট মিস করে গোল হজম করেন। তিনি পজিশনে থাকলে ভালো মতোই বল গ্রিপে নিতে পারতেন।
প্রথম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ার পর ভারত বাংলাদেশকে চেপে ধরে। টানা কয়েকটি আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণ ও গোলরক্ষককে ব্যতিব্যস্ত রাখে। প্রথম ২০ মিনিট ভারতের আক্রমণ সামাল দিয়ে বাংলাদেশ স্বাভাবিক খেলায় ফেরার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের একটি আক্রমণ পোস্টে লেগে ফেরতও আসে। ৪২ মিনিটে কর্ণার থেকে এক আক্রমণে বাংলাদেশ ভারতের জালে বলও পাঠায়। রেফারি অবশ্য এর আগেই ফাউলের বাশি বাজান। টিভি রিপ্লে কিংবা খেলার ধরনে ফাউলের তেমন কোনো অ্যাকশন স্পষ্ট হয়নি। বাংলাদেশের ফুটবলাররাও এতে বিস্মিত হন। হাফ টাইমে রেফারিকে এ নিয়ে জেরাও করেন কয়েকজন।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ খেলায় সমতা আনার প্রাণান্ত চেষ্টা করে। ৬২ মিনিটে অবশ্য জটলার মধ্যে থেকে গোলে আসে সমতা। কর্নার থেকে ভারতের বক্সে কয়েক দফা ঘুরে বল পান জয় আহমেদ। তার নেয়া শট ভারতের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল জালে জড়ায় বাংলাদেশ ম্যাচ সমতার আনন্দে মাতে। পুরো টুর্নামেন্টে এটিই ভারতের জালে প্রথম বল প্রবেশের ঘটনা। বাকি সময় বাংলাদেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশিং দুর্বলতায় লিড নিতে পারেনি। উল্টো পাঁচ মিনিট ইনজুরি সময়ে গোল থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। ভারতের সংঘবদ্ধ আক্রমণে গোলরক্ষক মাহিন পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসেন এরপর অরক্ষিত পোস্টে ভারতের ফরোয়ার্ড শট নিলেও সেটা তেমন জোরালো না হওয়ায় বাংলাদেশের ডিফেন্ডার গোললাইন সেভ করতে সমর্থ হন। এর পরপরই রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজান। সেই নাটকীয় টাইব্রেকারে বাংলাদেশ ফাইনাল হারল।

Side banner