মুসলিম হিসেবে আল্লাহ তায়ালাকে সবাই ভালোবাসেন এবং আল্লাহও বান্দাকে ভালোবাসুন এমন প্রত্যাশা রাখেন প্রত্যেকে। আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা লাভ করা যায় বিভিন্ন নেক আমল ও ভালো কাজের মাধ্যমে। এখানে এমন পাঁচটি আমল তুলে ধরা হলো
১. আল্লাহর ওপর পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস স্থাপন করা
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদের জন্যই এবং তারাই সৎপথপ্রাপ্ত। (সুরা আনআম, আয়াত : ৮২) অন্য আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তিনি তাদের পূর্ণ পুরস্কার দান করবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দেবেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৭৩)
২. নামাজ আদায় ও আল্লাহর জিকির দোয়া ও জিকির
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং সালাত কায়েম কর। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন যা তোমরা কর। (সুরা আনকাবুত, আয়াত :৪৫)
৩. যাকাত প্রদান ও দান করা
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আর তোমরা নামাজ কায়েম কর ও যাকাত দাও এবং যে নেক আমল তোমরা নিজদের জন্য আগে পাঠাবে, তা আল্লাহর নিকট পাবে। তোমরা যা করছ নিশ্চয় আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা। (সুরা বাকারা, আয়াত :১১০)। অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমরা তোমাদের প্রিয়বস্তু খরচ না করা পর্যন্ত কখনো পুণ্য লাভ করবে না, যা কিছু তোমরা খরচ কর-নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে খুব ভালভাবেই অবগত। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত :৯২)
৪. সৎকাজ ও রোজা পালন
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তারা অনুশোচনাভরে (আল্লাহর দিকে) প্রত্যাবর্তনকারী, ‘ইবাদাতকারী, আল্লাহর প্রশংসাকারী, রোজা পালনকারী, রুকুকারী, সেজদাকারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী, অন্যায় কাজ থেকে নিষেধকারী, আল্লাহর নির্ধারিত সীমা সংরক্ষণকারী, কাজেই (এসব) মুমিনদের সুসংবাদ দাও। (সুরা তওবা, আয়াত :১১২)
৫. হজ ও অন্যান্য শারীরিক ইবাদত পালন করা
পবিত্র কোরআনে হজ পালনের বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আর মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে। (সুরা হজ, আয়াত : ২৭)
আপনার মতামত লিখুন : :