যশোরের কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোড়লকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। পুলিশের হাতকড়া পরা অবস্থায় স্থানীয় জনতা তাকে বেধড়ক মারধর করে।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে পৌর শহরের ভোগতি-নরেন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দ্রুত থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন কেশবপুর পৌর শহরের ভোগতি-নরেন্দ্রপুর গ্রামে রফিকুল ইসলামের বাড়ি প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘিরে রেখেছে জনতা। এরপর সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ি ঘেরাও করে রাখার সময় রফিকুলের সন্ত্রাসী বাহিনীর ৮-১০ জন জনতার ওপর হামলা চালায়। এ সুযোগে রফিকুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর তার ভাগনে আওয়ামী লীগ নেতা মিলনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে রফিকুলকে আটকের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে রফিকুল ইসলাম মোড়ল নৌকা প্রতীকে কেশবপুর পৌর মেয়র নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আব্দুস সামাদ বিশ্বাসকে পরাজিত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে পুনরায় তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।
কেশবপুর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর রফিকুল এলাকা ছাড়েন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন।
আপনার মতামত লিখুন : :