লেবানন, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে একযোগে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (৫ মে) রাতে যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়। হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীদের অবকাঠামো।
লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা উপত্যকা সংলগ্ন জান্তা শহরের উপকণ্ঠে ছয়টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। একই অঞ্চলের শারা পাহাড়েও হামলা চালানো হয়। দক্ষিণ লেবাননের স্রিফা গ্রাম ও টাইর হারফায় চারটি তৈরি কক্ষ লক্ষ্য করে চালানো হয় ড্রোন হামলা।
সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ার সরঘায়া শহরেও বিমান হামলা চালানো হয়। যা লেবাননের পার্বত্য এলাকার ঠিক বিপরীত পাশে অবস্থিত। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, এই সব হামলার টার্গেট ছিল হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো।
এ ছাড়া একই রাতে ইয়েমেনের হোদেইদা প্রদেশেও বড় ধরনের বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হুতি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশনের দাবি, হোদেইদা বন্দরের আশপাশে অন্তত ছয়টি বিমান হামলা ও রাজধানী সানার নিকটে তিনটি হামলা হয়েছে। হুতি মিডিয়া এটিকে ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলি আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
ইসরায়েলি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০টি যুদ্ধবিমান এই অভিযানে অংশ নেয় এবং মূলত হোদেইদা বন্দরের সামরিক অবকাঠামো টার্গেট ছিল, যেখান থেকে হুতিরা রেড সি অঞ্চল ও ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন : :