• ঢাকা
  • রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

বাংলা সিনেমার মুকুটহীন সম্রাট’কে হারানোর এক যুগ আজ


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | বিনোদন ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম বাংলা সিনেমার মুকুটহীন সম্রাট’কে হারানোর এক যুগ আজ

প্রয়াত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন; বাংলা সিনেমার ‘মুকুটহীন সম্রাট’ বলা হতো যাকে। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এই কিংবদন্তি অভিনেতাকে হারানোর এক যুগ পূর্ণ হলো; ২০১৩ সালের আজকের এই দিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি।
মূলত ‘নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহ’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে আনোয়ার হোসেন ‘বাংলার সম্রাট’ অভিধা পেয়েছিলেন। এরপর একে একে দর্শকের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সিনেমা। তবে পর্দায় ‘আমেনার মা’ বলে বুকে হাত দিয়ে হার্ট অ্যাটাকের দৃশ্যেও বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন। 
১৯৫৮ সালে ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জীবনে প্রবেশ করেন; এরপর ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তি অভিনেতা ৫২ বছরের অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
অভিনেতা আনোয়ার হোসেন অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহ’, ‘নাগর দোলা’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘সূর্যস্নান’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জোয়ার এলো’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘নাচঘর’, ‘দুই দিগন্ত’, ‘বন্ধন’, ‘পালঙ্ক’, ‘অপরাজেয়’, ‘পরশমণি’, ‘শহীদ তিতুমীর’, ‘ঈশা খাঁ’, ‘অরুণ বরুণ কিরণমালা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘রংবাজ’, ‘নয়নমনি’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘ভাত দে’ উল্লেখযোগ্য। নায়ক হিসেবে তার শেষ সিনেমা ‘সূর্য সংগ্রাম’।  
বরেণ্য এই অভিনয়শিল্পী ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নজির হোসেন ও মায়ের নাম সাঈদা খাতুন। তিনি ছিলেন তার বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান। ১৯৫১ সালে তিনি জামালপুর স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। 
চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের পর ১৯৭৫ সালে প্রথম প্রদানকৃত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা ছিলেন আনোয়ার হোসেন। নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কারটি জিতে নেন তিনি।  

Side banner