• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

বেঁচে থাকলে ৮৪ বছরে পা রাখতেন এটিএম শামসুজ্জামান


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | বিনোদন প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৭:০১ পিএম বেঁচে থাকলে ৮৪ বছরে পা রাখতেন এটিএম শামসুজ্জামান

ইচ্ছা ছিল লেখক হওয়ার, লেখালেখি করতে গিয়ে ঘটনাক্রমে জড়িয়ে পড়েন অভিনয়ে। সেই যে শুরু করলেন তা থামল গিয়ে ছয় দশকে। এর মধ্যে এই ভুবন তাকে দিয়েছে খ্যাতি, জনপ্রিয়তা। বলছিলাম, কিংবদন্তি অভিনেতা আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ওরফে এ টি এম শামসুজ্জামানের কথা।
১৯৪১ সালের আজকের এই দিনে (১০ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। বেঁচে থাকলে আজ ৮৪ বছরে পা রাখতেন তিনি। 
প্রায় ছয় দশকের ক্যারিয়ারে অভিনয়ের মাধ্যমে কখনো দর্শককে হাসিয়েছেন, কখনো আপ্লুত করেছেন, কখনো আবার ভয় ধরিয়েছেন ভিলেন হয়ে। সব চরিত্রেই প্রমাণ দিয়েছেন নিজের দক্ষতার। 
১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এরপর লিখেছেন শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।
বছর চারেক পরেই অভিনেতা হিসেবে সিনেমায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
লেখালেখি, অভিনয়ের বাইরে নাম লিখিয়েছেন পরিচালনাতেও। তার পরিচালিত একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’।
জীবদ্দশায় পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ টি এম শামসুজ্জামান। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সূত্রাপুরের দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতা। জুরাইন কবরস্থানে তার বড় ছেলে কামরুজ্জামান কবীরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

Side banner