• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

ডাকসুর ‘জয়-পরাজয়’ নিয়ে মাঝরাতে হাসনাতের সতর্কবার্তা


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৯:৩৬ এএম ডাকসুর ‘জয়-পরাজয়’ নিয়ে মাঝরাতে হাসনাতের সতর্কবার্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘সকলের উচিত ভোটারদের রায়কে সম্মান করা।’
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “আজ ডাকসুতে যারা জিতবে, তারা কীভাবে দায়িত্ব নেবে এবং যারা হারবে, তারা কীভাবে পরাজয় গ্রহণ করবে- এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর বলে দেবে আমাদের জাতীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে।”
তিনি আরও লেখেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব বিস্তার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। পেশিশক্তি, জনশক্তি ও সংগঠিত উপস্থিতির মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছাত্র রাজনীতির নিজস্ব চরিত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ডাকসু এখন শুধু ছাত্রদের ম্যান্ডেট বহন করছে না, বরং জাতীয় রাজনৈতিক দলের এক্সটেনশন গেমে পরিণত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভিন্ন মতের শিক্ষক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সবার প্রতি গণহারে ট্যাগ বসানোর প্রবণতা স্পষ্ট হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলের বিভাজন, সন্দেহ ও দমননীতির ধারাবাহিকতায় এই মানসিকতা রাজনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে অনিরাপদ ও সংকুচিত করবে।
ছাত্র রাজনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে নিয়মিত নতুন নেতৃত্বের উত্থান এবং পরাজয়কে পরবর্তী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গ্রহণের সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, “ডাকসু নির্বাচন সেই সংস্কৃতি তৈরির সূচনা হতে পারত, তবে ফলাফল গ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে।”
সব রাজনৈতিক দলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, “সকলের উচিত ভোটারদের রায়কে সম্মান করা। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি সহিষ্ণুতা। যাকে আমি পছন্দ করি না, তাকেও যদি জনগণ বেছে নেয়, সেটিকে সম্মান করাই গণতন্ত্র।”
শেষে তিনি সতর্ক করে আরও লেখেন, “গত ১৭ বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বল্পমেয়াদি স্বার্থে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফল ভুগছে দেশ। এবার সময় এসেছে পরাজয়কে সম্মানিত করার সংস্কৃতি গড়ে তোলার। অন্যথায় আগামী দিনের রাজনীতি থেকে যাবে কেবল জয়ীদের উল্লাস আর পরাজিতদের ক্ষোভে বন্দী, আর গণতন্ত্র কোনোদিন পূর্ণতা পাবে না।”

Side banner