দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ছয়টি দেশ। আরেক দল উঠবে প্লে-অফ খেলে। অর্থাৎ, তাদের যখন বাছাইয়ের কেবল এক ম্যাচ বাকি, একই সময়ে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সসহ ইউরোপের প্রায় দেশ মাত্র বাছাইপর্ব শুরু করেছে। এমবাপে-ওলিসের গোলে ইউক্রেনের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করেছে ২০১৮ আসরের শিরোপাজয়ী দলটি।
গতকাল (শুক্রবার) পোল্যান্ডের মাঠে ইউক্রেনের মুখোমুখি হয় ফ্রান্স। প্রথমার্ধে মাইকেল ওলিসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্সকে দ্বিগুণ লিড এনে দেন কিলিয়ান এমবাপে। বিপরীতে বেশ ভালো লড়াই করেও ইউক্রেন গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচজয়ী ফরাসিরা প্রায় ৫৬ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৬টি শট নেয়, এর মধ্যে তারা লক্ষ্যে রাখতে পারে ৬টি। ইউক্রেনের ৮ শটের ৩টি লক্ষ্যে ছিল।
ফ্রান্সকে দশম মিনিটেই বার্কোলার বাড়ানো বলে এগিয়ে দেন ওলিসে। ফাঁকা জায়গায় পেয়ে তিনি বাঁ পায়ের নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন। যা চলতি মৌসুমে সবমিলিয়ে (ক্লাব ও জাতীয় দল) ওলিসের পঞ্চম গোল। এরপর ইউক্রেনের রক্ষণে হানা দিয়ে অষ্টাদশ মিনিটে শট নেন বায়ার্ন মিউনিখের এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। তবে ইউক্রেনের গোলরক্ষক সেটি ফিরিয়ে দেন। খানিক বাদেই দেজিরে দুয়ের শটও ব্যর্থ হওয়ার পর লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন এমবাপে।
বিরতির পর বদলি নেমে উসমান দেম্বেলে সুযোগ পেয়েছিলেন, এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান ইউক্রেন গোলরক্ষক। ইউক্রেন ৬৫তম মিনিটে সমতায় ফেরার কাছাকাছি ছিল। তবে আর্তেমের হেড ফরাসি গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও পাল্টা হেড দিয়ে সেটি ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতে। খানিক বাদেই ফের ইউক্রেন দুর্ভাগ্যের শিকার হয় তাদের একটি হেড গোলপোস্টে লাগায়। তাদের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা শেষ করে দিয়ে ৮২ মিনিটে গোল করেন এমবাপে। যা ফ্রান্সের জয় নিশ্চিত করে ফেলে।
অঁরেলিয়ে চুয়ামেনির বাড়ানো পাস ধরে এমবাপে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে নিচু শটে বল জালে পাঠান। এর মধ্য দিয়ে এমবাপে ফ্রান্সের হয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১তম গোল করলেন তিনি। এমবাপে নাম লেখালেন থিয়েরি অঁরির পাশে। অলিভিয়ে জিরু ৫৭ গোল করে সবার শীর্ষে আছেন।
আপনার মতামত লিখুন : :