নিজ দলে ভাঙন ঠেকাতে পদত্যাগ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে সকাল থেকেই তার পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছিল।
সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইশিবার পদত্যাগের মাধ্যমে বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপান নতুন করে আবারও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল।
জাপানে জীবনমানের ব্যয় বৃদ্ধি, চাল নীতি সংস্কার, এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং জাপানি অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। এরমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ইশিবা পদত্যাগ করলেন।
গত বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এ নেতা। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক জোট নির্বাচনে হেরে সংসদের উচ্চ ও নিম্নকক্ষ উভয় জায়গায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।
জুলাইয়ে উচ্চকক্ষে ঐতিহাসিক পরাজয় ও জীবনমানের ব্যয় বাড়ার পর থেকেই তার ওপর চাপ বাড়ছিল। বিশেষ করে তার দলের ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা তার পদত্যাগ চাইছিলেন। এ দলটি যুদ্ধপরবর্তী বেশিরভাগ সময়ই জাপানে সরকার পরিচালনা করেছে।
উচ্চকক্ষের নির্বাচনে হারার পর লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। এরপর গত সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দলে আমূল পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রী ইশিবার পদত্যাগের চাপ আরও ঘনীভূত হয়।
পদত্যাগের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি প্রয়োগ করে যেতে চেয়েছিলেন ইশিবা। কিন্তু তিনি আর এটি পারেননি।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করে জাপান। এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে টোকিও। এর বদলে মার্কিন বাজারে নিজেদের অটোমোবাইল শিল্পে শুল্ক ছাড় পাবে দেশটি।
সূত্র: এনবিসি
আপনার মতামত লিখুন : :