চোখ নিয়ে কতশত কবিতা ও গান। সেসব কবিতা ও গানে উঠে এসেছে সৌন্দর্যের গল্প। সে কারণে নারীরা চোখের সাজের ক্ষেত্রে একটু আলাদা গুরুত্ব দেয়। বিশেষ করে তারা এ ক্ষেত্রে সময় ও পরিবেশকে প্রাধান্য দেয়। যদি অনুষ্ঠান সকালে হয়, তবে সাজ হয় সে অনুযায়ী। আর বিকেল কিংবা রাতের জন্য হয় আরেক রকম। অর্থাৎ অনুষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী সাজে পরিবর্তন আসে। এর বাইরে, সাধারণ বা গর্জিয়াস যে কোনো আয়োজনে চোখে আনা যেতে পারে এক্সক্লুসিভ লুক।
চোখ সাজানোর ক্ষেত্রে সময় ও পরিবেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। সকালে, বিকেলে কিংবা রাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী সাজে পরিবর্তন আনা জরুরি। তবে সাধারণ বা গর্জিয়াস যে কোনো আয়োজনে চোখে আনা যেতে পারে এক্সক্লুসিভ লুক।
বাঙালি সাজের সঙ্গে মানানসই চোখের সাজ
চোখ যাতে কথা বলতে পারে তার সঙ্গে মানানসই চোখ সাজাতে হবে। পার্টি বা উৎসবে চোখের সাজটা খুবই জরুরি। কারণ, আপনার মুখের অর্ধেক অংশজুড়ে রয়েছে এই চোখ। আর এ চোখের সাজ পারফেক্ট মানে আপনি যে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে একদম প্রস্তুত।
চোখের মেকআপে করণীয়
সাজ যেন পোশাকের সঙ্গে মানানসই হয়।
পার্লারের পরিবর্তে ঘরে বসেই আই মেকআপ করা ভালো।
অন্যের ব্যবহৃত ব্রাশ বা ননব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
আইলাইনারের পরিবর্তে কাজল ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে লোয়ার লাইনারের একেবারে কোলঘেঁষে ব্যবহার না করাই উত্তম।
পোশাকের সঙ্গে মানানসই
চোখের সাজ যেনো পোশাকের সঙ্গে মানানসই হয় সেই দিকে খেয়াল রাখুন। তবে এর জন্য বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না। কারণ, কাজের চাপে নিজেকে সাজানোর সময় একেবারেই পান না মেয়েরা। তাই দ্রুত আই মেকআপ করতে আজকের মেকআপ টিউটোরিয়ালটি ফলো করতে পারেন। বাড়িতে বসেই চোখে এই আকর্ষণীয় লুকটি আনতে পারবেন।
চোখের সৌন্দর্য ধরে রাখার উপায়
চোখের নিচের কালো দাগ, ফোলা ভাব কিংবা অযত্নে সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। এর সমাধানে ঘরোয়া পদ্ধতিই কার্যকর হতে পারে।
আলু ও শসা ফ্রিজে ঠাণ্ডা করে পাতলা রুমালে জড়িয়ে চোখে ১৫–২০ মিনিট লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
প্রতিদিন কয়েক মিনিট কাঁচা দুধের ননী ম্যাসেজ করলেও ভালো ফল মেলে।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রয়োজনে বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের আই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
পার্লারে একই মেকআপ প্রোডাক্ট আর ব্রাশ সবার জন্য ব্যবহার করা হয়। যা আপনার চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই পার্লারে সাজার অভ্যাস বাদ দিয়ে বাড়িতেই সেজে নিন। এ ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, চোখের সাজের ক্ষেত্রে যেসব সাবধানতা অবলম্বন করবেন তা হলো নিজে বাড়িতে সাজতে চোখের সাজের ক্ষেত্রে কখনও ননব্রান্ডের প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। এ ছাড়া আইলাইনারের পরিবর্তে কাজল ব্যবহার করুন।
চোখের পাপড়ির যত্ন
মেকআপ তুলে না রেখে কখনো ঘুমানো যাবে না।
প্রয়োজন ছাড়া কৃত্রিম আইল্যাশ ব্যবহার না করাই ভালো।
পাপড়ি ও চুল সবসময় পরিষ্কার ও খুশকিমুক্ত রাখতে হবে।
চোখ ঘষা বা পাপড়িতে টানাটানি এড়িয়ে চলতে হবে।
ভিটামিন ই পাপড়ির বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
অজ্ঞতার কারণে আইল্যাশ কোঁকড়া করার যন্ত্র ব্যবহার না করাই ভালো।
চোখ শুধু সৌন্দর্য নয়, আত্মবিশ্বাসেরও প্রতীক। তাই পার্লারের ঝক্কি এড়িয়ে ঘরেই সঠিক পদ্ধতিতে চোখের যত্ন ও মেকআপ করে অনায়াসে সবার নজর কাড়া সম্ভব।
চোখের সৌন্দর্য ধরে রাখুন
চোখ সাজাতে ভালোবাসে না এমন মেয়ে নেই বললেই চলে। চোখের সাজটা যদি সুন্দর না হয় তাহলে সম্পূর্ণ সাজটাই আর ভালো দেখায় না। কিন্তু চোখ সবসময় গাড় আইশ্যাডো, আইল্যাশ লাগালেই যে সুন্দর দেখাবে তা নয়। চোখের নিচের কালো দাগ, ফোলা ভাব, চোখে মেকি মেকাপ এ ঢাকা যায় না। আর সঠিক যত্ন না নিলে ধীরে ধীরে চোখের সৌন্দর্যই ম্লান হয়ে আসবে তার সাথে নানান সমস্যা তো আছেই।
পরিশেষে, চোখের লোয়ার লাইনারের কোলঘেঁষে কাজল দেয়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। তা না হলে স্বল্প সময়ের সৌন্দর্যের জন্য অল্প বয়সেই আপনি আপনার মহামূল্যবান চোখ দুটি হারাবেন।
আপনার মতামত লিখুন : :