অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকে শুরু রাজপথে সরব ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী। সবসময় সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন।
এদিকে, বছর দুই আগে ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল আজমরী হক বাঁধন ও বলিউড অভিনেত্রী টাবু অভিনীত ‘খুফিয়া’। মুক্তির পর নেটফ্লিক্সে মৌমাছির মতো ভিড় করেন দর্শকরা। এ ওয়েব সিনেমায় টাবুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখা গেছে বাঁধনকে।
সমকামী চরিত্রে অভিনয় করায় বেশ সমালোচনায় পড়েছিলেন তিনি। সমালোচনার পর বেশ কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এবার এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার ফিরিস্তি তুলে ধরলেন বাঁধন। সোমবার (২৬ মে) নিজের ফেসবুকে ‘আমার আর বিশাল ভারদ্বাজের মধ্যে কথোপকথন’ শিরোনামের একটি পোস্টে ‘খুফিয়া’ ছবিতে যুক্ত হওয়ার গল্প তুলে ধরেছেন বাঁধন।
বিশাল ভারদ্বাজ অভিনেত্রীকে বলেন সবাই যখন এই সিনেমায় কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না তখন আপনি এই ছবিটা করতে রাজি হলে কেন? পরিচালকের এ কথা শুনে একটু হেসেই বাঁধন বলেন, স্যার, টাবুকে চুমু দেওয়ার সুযোগ কে হাতছাড়া করে? তবে সত্যি বলতে, আপনার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আমি মিস করতে চাইনি। আমি একজন অভিনয়শিল্পী। আমার মনে ভয় বা সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত না। চরিত্রটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
এরপরই পরিচালক বাঁধনকে পাল্ট প্রশ্ন করেন। বিশাল ভারদ্বাজ বলেন, তোমার দেশের অনেক অভিনেত্রী এই সিনেমায় যুক্ত হতে চাইনি। কেউ কেউ “জামাত” শব্দটা বাদ দিতে বলেছেন। এছাড়া কেউ চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করতে রাজি হয়নি। তুমি কেন এই ঝুঁকি নিলে?
পরিচালকের প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, স্যার, আমি সমকামী বিদ্বেষী নই। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেকের নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার আছে। আর আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। আমি চাই না জামায়াত বা কোনো উগ্রপন্থী দল কখনও ক্ষমতায় আসুক।
অভিনেত্রীর স্পষ্ট উত্তর শুনে মুগ্ধ হন বিশাল। একটু হাসি দিয়েই তিনি বলেন, খুফিয়া সিনেমার জন্য আমি সঠিক মানুষকেই নির্বাচন করে ছি। আমি খুব খুশি যে আমরা একসাথে কাজ করতে পারছি।
আপনার মতামত লিখুন : :