বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার একটি মাদরাসায় শিশু শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদ।
গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বকুলতলা আল-কারীম ক্বিরাআতুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসা পরিদর্শনের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক শিশুর পরিবার থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
ইউএনও ফারুক আহমেদ বলেন, মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকারদের অভিভাবকদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। আপাতত মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। মামলা হলে পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্যরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন, মাদরাসা পুনরায় চালু হবে কি না।
থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল রহমান দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন নিপীড়ন করে আসছিলেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা মাদরাসায় জড়ো হন। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যান।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রহিম বলেন, মাদরাসায় প্রায় ৫০ জন ছাত্র আছে। কিছু ছাত্রকে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে রাতে মাদরাসায় রেখে দিতেন আব্দুল রহমান। তখনই তাদের যৌন নির্যাতন করতেন। এ কারণে অনেক ছাত্র মাদরাসায় যেতে চাইত না। অভিভাবকরা জোর করে পাঠাতেন।
এক শিক্ষার্থী বিষয়টি প্রকাশ করার পর সব জানাজানি হয়। ঘটনার পর মাদরাসা তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব শিক্ষককে ইউএনওর সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সংযোগ কেটে দেন।
আপনার মতামত লিখুন : :