ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। নিম্নমানের বিটুমিন ও উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ এনে তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট বাজার পর্যন্ত ৩ হাজার ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের সড়ক নির্মাণে এই অনিয়ম হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতায় এলজিইডির এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহমুদ এন্টারপ্রাইজ।
শনিবার (১৪ জুন) ১৫০ মিটার সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়। কিন্তু পরদিন রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে এক মোটরসাইকেল চালক ওই সড়কে পড়ে গিয়ে আহত হন। পরে স্থানীয়রা কার্পেটিংয়ের অংশে হাত দিয়ে টান দিলে তা সহজেই উঠে আসে। এরপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের কর্মীদের জবাবদিহির মুখে ফেলে কাজ বন্ধ করে দেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সামাদ মুন্সী বলেন, প্রথম থেকেই কাজের মান খারাপ ছিল। বিষয়টি একাধিকবার বললেও কেউ কর্ণপাত করেনি।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় এলজিইডির কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে কয়েকশ এলাকাবাসী উপস্থিত হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
পাচুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, পুরো কাজ এখনো বাকি। কিন্তু শুরুতেই এমন কাজ করায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। এই সড়ক অনেক দিন ভাঙাচোরা ছিল। অবশেষে কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি ছিলাম। কিন্তু এমন নিম্নমানের কাজ আমরা চাই না।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাহমুদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাহমুদ বলেন, সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা না গেলে কার্পেটিং জমে শক্ত হয় না। স্থানীয়রা ২৪ ঘণ্টার মাথায় টান দিয়ে কার্পেটিং উঠিয়ে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম জানান, গুণগতমান ঠিক রেখেই কাজ হচ্ছে। স্থানীয়রা পুরো প্রক্রিয়াটি না জানায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সড়ক সরু হওয়ায় এক পাশ আটকে কাজ করা হয়েছিল। বিষয়টি ব্যাখ্যা করলে স্থানীয়রা শান্ত হন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শিগগিরই পুনরায় কাজ শুরু হবে।
আপনার মতামত লিখুন : :