মাদারীপুরে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। রবিবার (১ জুন) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম এ অভিযান চালান।
এ সময় তারা বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেন। কথা বলেন সেবা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গেও।
দুদক সূত্র জানায়, মাদারীপুর শহরের শকুনী মৌজায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত তলাবিশিষ্ট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ভবন নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ শেষে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে মাদারীপুর গণপূর্ত অধিদপ্তর। পরে ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয়। এরপর তিন কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হয় ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। ২০২৩ সালের নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় আইসিইউ। তবে উদ্বোধনের পর থেকেই আইসিইউ কক্ষ তালাবদ্ধ থাকে। এতে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
দুদক সূত্র আরও জানায়, হাসপাতালে সিটিস্ক্যান মেশিন আছে। তবে সেটিও বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়। ভাউচার ছাড়া ২৬ লাখ টাকার বিল উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে সাবেক প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক গোলাম কাওসার মিয়ার বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে এক ভুক্তভোগী দুদকের প্রধান কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তদন্তে নামে মাদারীপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের নানান অভিযোগ ও অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুদক। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সত্যতাও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নথিপত্র যাছাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন : :