ঈদের বাকি কয়েক দিন। ঈদের দিন সবাই একটু সুন্দর ও পরিপাটি করে সাজতে চান। এ জন্য এখন থেকেই ত্বক ও চুলের যত্ন নিলে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন।
গরমের মৌসুমে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এ জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন। তরল খাবার, মৌসুমি ফল, ফলের জুস ও শাক-সবজি খান। শুষ্ক ত্বককে সুন্দর রাখতে চাই ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার। ত্বকে মধু ম্যাসাজ করলে শুষ্কতা কমে। তিন থেকে চার মিনিট মধু ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরাও শুষ্কতা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। অ্যালোভেরার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কভাব কমবে। শুষ্ক ত্বকের যত্নে আরেকটি কার্যকর উপাদান দুধ। দুধের সরের সঙ্গে দু-তিন ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রতিদিন স্ক্রাব করলে উপকার পাবেন।
তৈলাক্ত ত্বক
ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করতে শসার রসের জুড়ি নেই। এখন থেকে প্রতিদিন শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। ঈদের আগে মুখের তৈলাক্তভাব কমে আসবে। ঘরোয়া প্যাক বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের সাদা অংশ, শসার রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই প্যাক ব্যবহার করুন। তৈলাক্তভাব কমে ত্বক মসৃণ ও সুন্দর হবে। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। এই প্যাক সপ্তাহে এক বা দুই দিন ব্যবহারে তৈলাক্ত ভাব কমে আসবে।
স্বাভাবিক ত্বক
স্বাভাবিক ত্বক সুন্দর রাখতে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয় না। নিয়মিত মুখ ধোয়া, ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করা, মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার দেওয়া, বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগানো, মেকআপ তোলার সময় ডবল ক্লিনজিং করা—এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে ত্বকে কোনো সমস্যা হবে না। তবে ঈদ বলে কথা। এ জন্য বাড়তি যত্ন করতেই পারেন। এতে ত্বক আরো বেশি লাবণ্যময় হয়ে উঠবে। পাকা পেঁপে মুখে ও গলায় মেখে কিছুক্ষণ রেখে এরপর ধুয়ে ফেলুন। মসুর ডাল বেটে এর সঙ্গে মধু, কাঁচা দুধ ও কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে ও গলায় ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক ভালো থাকবে। নিয়মিত ঘুম, বাইরে সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং সপ্তাহে দুই দিন ফেসপ্যাক লাগান ত্বকে। ঈদের আগেই ত্বক হয়ে উঠবে দীপ্তিময়। নিয়মিত ঘুম, বাইরে সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং সপ্তাহে দুই দিন ফেসপ্যাক লাগান ত্বকে। ঈদের আগেই ত্বক হয়ে উঠবে দীপ্তিময়।
চুল
শ্যাম্পু
সুস্থ, সুন্দর ঝলমলে চুলের জন্য শ্যাম্পুর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু তাই বলে রোজ শ্যাম্পু করা যাবে না। কারণ বেশির ভাগ শ্যাম্পুতে কোনো না কোনো কেমিক্যাল থাকে। এসব কেমিক্যাল মাথার ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়। এতে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে চার দিনের বেশি শ্যাম্পু করা যাবে না।
হেয়ার মাস্ক
ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে নারিশিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, তিন টেবিল চামচ অ্যালোভেরা, দুটি ডিমের কুসুম—সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে মাখিয়ে রাখতে হবে অন্তত ৪৫ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুল হবে মৃসণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করুন।
হট অয়েল
অল্প সময়ে চুলের স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভাব ফিরিয়ে আনতে হট অয়েল খুবই কার্যকর। নিজেই হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। কয়েক রকমের তেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের আগে মাইক্রোওয়েভে ১০ সেকেন্ড বা চুলার নিচে কিছুক্ষণ রেখে কুসুম গরম করে নিন। পরিষ্কার ও হালকা ভেজা চুলে হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করতে হবে। তেল লাগানো শেষে ভালোভাবে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর চুল আঁচড়ে নিন। এবার একটি টাওয়েলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিংড়ে চুল ঢেকে রাখুন। এতে মাথার ত্বকের গভীরে তেল প্রবেশ করে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। শেষে চুল শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আপনার মতামত লিখুন : :