• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Bancharampur Barta
Bongosoft Ltd.

শিক্ষার্থী ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া বন্ধ রাখল যুক্তরাষ্ট্র


বাঞ্ছারামপুর বার্তা | শিক্ষা ডেস্ক মে ২৮, ২০২৫, ০২:১৭ পিএম শিক্ষার্থী ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া বন্ধ রাখল যুক্তরাষ্ট্র

শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের তারিখ দেওয়া বন্ধ রাখতে বিশ্বব্যাপী দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এই আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই-বাছাই প্রস্তুতি সম্প্রসারণের মধ্যে তারা এ নির্দেশ দিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সাময়িক বন্ধ রাখার এই আদেশ বহাল থাকবে, কূটনৈতিক মিশনগুলোতে পাঠানো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর এক বার্তার অনুলিপিতে এমনটাই দেখা গেছে।
ওই বার্তায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা এবং বিদেশি শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচির ভিসাগুলোর ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই প্রক্রিয়া আরও কঠোর করা হবে, যার ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব’ পড়বে দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর ওপর।
এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে এল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। তার ধারণা, এসব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত বাম-ঘরানার। এরা ক্যাম্পাসে এন্টিসেমিটিজম বা ইহুদিবিদ্বেষকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং এদের ভর্তি নীতিও বৈষম্যমূলক, বলেছেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার দূতাবাসগুলোতে শিক্ষার্থী ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশনা সম্বলিত ওই মেমো পাঠিয়েছে; মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস সেই মেমোটি দেখেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মেমোতে ভিসাপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদেরকে এখনও সাক্ষাৎকারের তারিখ দেওয়া হয়নি, সেসব অ্যাপয়েন্টমেন্ট আপাতত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তবে যাদেরকে ইতিমধ্যে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদেরটা বহাল থাকবে।
সকল ধরনের শিক্ষার্থী ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে ‘প্রযোজ্য বাধ্যতামূলক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ক্রিনিং ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্প্রসারণের’ প্রস্তুতি চলছে বলেও ওই কূটনৈতিক তারবার্তায় জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে চাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা পেতে নিজ দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দেওয়া লাগে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টিউশন ফি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই আয়ের বড় উৎস।
শিক্ষার্থী ভিসার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টামি ব্রুস সাংবাদিকদের বলেন, কারা এ দেশে আসছে, তা যাচাই-বাছাই করাকে আমরা খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি, এবং আমরা এমন কাজ অব্যাহত রাখবো।
জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর এই ক’মাসেই ট্রাম্প বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত কোটি কোটি ডলারের সহায়তা স্থগিত করে দিয়েছেন, অসংখ্য শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন। প্রত্যাহার করা হয়েছে হাজারো শিক্ষার্থীর ভিসা। যদিও এসব পদক্ষেপের অনেকগুলোই আদালত সাময়িকভাবে আটকে রেখেছে।
হোয়াইট হাউজের অভিযোগ, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসের ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকে ইহুদিবিদ্বেষে পরিণত হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এই অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের’ অভিযোগ আনছে।
এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে কয়েকদিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ও বিদেশি গবেষক নিয়োগের ক্ষমতা বাতিল করেছিল। হার্ভার্ড মামলা করলে পরে ফেডারেল এক বিচারক ওই সিদ্ধান্তে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেন।
শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন যদি আদালতের বাধা টপকাতে পারে তাহলে তা বিশ্ববিদ্যালয়টিকে জোর ধাক্কা দেবে, কেননা তাদের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ভিনদেশীর সংখ্যা এক চতুর্থাংশের বেশি।

Side banner