বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দুঃসময়ের আহবায়ক হলেন মো. আলমগীর হোসেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক হন। তারপর ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৭ বছর বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে সততা, দক্ষতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দূর্গারামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাকিমের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন। তার রক্ত মাংস, অস্থি মর্জ্জায় মিশে আছে আওয়ামী লীগের চেতনা ও স্বাধিনতার মর্মবাণী।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পরিবার পরিজন ছেড়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আবদুল হাকিম। আর সেই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাকিমের সন্তান আলমগীরের শিরায় শিরায় রক্ত কণিকায় আওয়ামী লীগের চেতনা, অনুভূতি, আবেগ, ভালবাসা ও দেশপ্রেম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। হয়তো সেই কারণেই বাঞ্ছারামপুরের মাটি ও মানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম ২০০৪ সালের দুঃসময়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়েছিলেন আলমগীরের উপর।
অস্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে সারা দেশের মতো বাঞ্ছারামপুরেও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত বাঞ্ছারামপুর সদরে প্রবেশ করতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে ২০০৪ সালের দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। ঠিক সেই সময় নিজের জীবনের উপর ঝুঁকি নিয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন মো. আলমগীর হোসেন। ফলে তার উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। বেশ কয়েকবার আলমগীর হোসেনকে হত্যার হুমকীও দেয়া হয়। তারপরও দলীয় কার্যক্রম থেকে পিছপা হননি। বরং মেধা, মনন ও সাংগঠনিক দক্ষতায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রলীগকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। আর সেই কারণেই বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আলমগীর হোসেন একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় এমপি ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলামের অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন মো. আলমগীর হোসেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই নেতার প্রতি সিনিয়র নেতাদেরও ভরসা লক্ষ্য করা যায়। আর সেই কারণেই বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মো. আলমগীর হোসেন একজন শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী এমনটাই অভিমত সাধারণ মানুষের। তাছাড়া আলমগীর হোসেনের প্রতি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আস্থা বিশ্বাস ও ভরসাও অনেক। ফলে সবকিছু মিলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে আলমগীর হোসেন সর্বজন গ্রহণযোগ্য এটা নিঃসন্দেহে অনুমেয়। আগামীদিনে মো. আলমগীর হোসেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে সাংগঠনিকভাবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগ দ্রুত এগিয়ে যাবে, এমনটাই বলাবলি করছে সাধারণ নেতাকর্মীরা। আলমগীর হোসেনও জানান, তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে বৃহত্তর কুমিল্লার মধ্যে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগকে সবচেয়ে শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবেন। মো. আলমগীর হোসেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছেন।
আপনার মতামত লিখুন : :